প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার! পচন ধরেছে মৃতদেহেও। প্রায় ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার হল। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট এলাকায়। ঘটনায় গ্রেপ্তার স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষক ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ি রামপুরহাট এলাকায়। অভিযোগ, গত ২৮ আগস্ট থেকে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ ছিল। জানা গিয়েছে, ওই বছর ১৩-এর ওই ছাত্রী প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর তার কোনও খোঁজ মেলেনি। রামপুরহাট থানায় ছাত্রীর পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগও করা হয়েছিল।
আজ, বুধবার সকালে রামপুরহাট থানার বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কুল্লাকাটা গ্রামের জঙ্গল থেকে ওই বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রামপুরহাট থানার পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। বেশ কয়েক দিন আগেই ওই মৃত্যু হয়েছিল। ফলে দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে। ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক মত পুলিশের।
ঘটনার পরই রামপুরহাট শ্যামপাহারি শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষকের কাছেই প্রাইভেট টিউশন পড়ত ছাত্রী। মৃতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করছিলেন। তার উপর ওই শিক্ষকের ‘কুনজর’ ছিল বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষকই কি ছাত্রীকে খুন করে দেহ জঙ্গলে ফেলেছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।
বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “নিখোঁজ ছাত্রীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়নি। শুধু নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। দেহ উদ্ধারের পর খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। দেহটি টুকরো টুকরো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দেহাংশে পচন ধরেছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে। কী কারণে সেই কিশোরীর মৃত্যু, তা জানতে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেই জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.