Advertisement
Advertisement
Amta

মমতার উদ্যোগে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাহায্যে নদী বাঁধ ও খালের সংস্কার, দ্রুত নামছে বর্ষার জল, খুশি আমতার কৃষকরা

তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকায় এই কাজ করা হয়।

Monsoon water is receding quickly in Amta
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:August 1, 2025 6:56 pm
  • Updated:August 1, 2025 8:34 pm  

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বর্ষার কথা ভেবে হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বর্ধমান-সহ পাঁচ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দামোদর নদীর পূর্ব দিকের বাধ উঁচু করা-সহ নানা ধরনের সংস্কার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকায় এই কাজ করা হয়। ভরা বর্ষায় এর সুফল পাচ্ছেন আমতা দু নম্বর ব্লক ও উদয়নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

মেজর ইরিগেশন এন্ড ফ্লাড প্রোজেক্টের দরুন সংস্কার হওয়া নালা খাল বেয়ে দ্রুত গতিতে নেমে যাচ্ছে জমা জল। বৃষ্টির জলে ডুবে যাওয়া ফসলের খেত থেকে জল নেমে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ দ্রুত সরে যাওয়ায় খুশি কৃষকরা। তাঁদের দাবি, ডিভিসির জল ছাড়া বন্ধ রাখলে বা নদীতে জলের চাপ কম থাকতো তাহলে আরও দ্রুত হারে জল নামত।

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বছর কয়েক আগে শুরু হয় দামোদরের পূর্ব দিকের বাদ উঁচু করা-সহ নানা ধরনের সংস্কার। এছাড়াও মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ মজবুতিকরণ এবং মজা দামোদর, রামপুর ক্যানেল, মান্দারিয়া খাল, টুকুর খাল, মহিষামুড়ি খাল-সহ একাধিক খালের সংস্কার করা হয়। তার জেরেই ভরা বর্ষাতেও মজা দামোদর খাল দিয়ে ডিহিভুরসুট, কুরচি শিবপুর, কানুপাট, সিংটি-সহ একাধিক এলাকায় জল নামছে। এছাড়া অন্যান্য খাল দিয়েও আমতা উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন জায়গার জমা জল বেরিয়ে যাচ্ছে রূপনারায়ন এবং দামোদর নদ হয়ে হুগলি নদীতে।

উদয়নারায়ণপুরের কুরচি শিবপুর এলাকার বিনোদবাটীর এক কৃষক সুকুমার মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমিও কয়েক বিঘা ধান চাষ করেছি। কিন্তু যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে তাতে রোয়া ধান গাছ ডুবে গিয়েছিল। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক দেখছি জমি থেকে জল নেমে যাচ্ছে। আশা করা যায় চাষের কোনও ক্ষতি হবে না।” সেচদপ্তরের এক কর্তা বলেন, “খালগুলো সংস্কারের ফলে নিঃসন্দেহে খালের জল ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। যার ফলে সহজেই উদয়নারায়নপুর, আমতা এলাকার জমা জল বের হতে পারছে।” প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাঙ্কের তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমতা ও উদয়নারায়ণপুরেই বড় অঙ্কের টাকার কাজ হয়েছে। মিলছে তার সুফলও।

আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ” আমতা-উদয় নারায়ণপুরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই। এই প্রকল্পের কারণে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন।” একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন উদয় নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত দাস ও উদয় নারায়ণপুর এলাকা থেকে নির্বাচিত হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় সামন্তও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement