Advertisement
Advertisement
Hooghly

দেবীপক্ষের আলোয় উদ্ভাসিত মাতৃত্ব! মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে কিডনি দানের সিদ্ধান্ত মায়ের

প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি মায়ের।

Mother decides to donate kidney to save daughter's life in Hooghly
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:September 21, 2025 1:22 pm
  • Updated:September 21, 2025 1:33 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পড়ছে মেয়ে। চোখের সামনে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগচ্ছে সন্তান। জীবন সংকট দেখে কী করে চুপ থাকতেন মা? চিকিৎসকদের ছাড়পত্র মিলতেই ২৮ বছরের যুবতীকে বাঁচাতে একটি কিডনি দানের সিদ্ধান্ত ৪৮ বছরের মায়ের। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিলেও অর্থনৈতিক সংকট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি মায়ের।

Advertisement

পাণ্ডুয়ার ক্ষীরখুণ্ডির বাসিন্দা বছর ২৮-এর আজমিরা খাতুন। পাঁচ বছর ধরে ভুগছেন কিডনির সমস্যায়। সপ্তাহের তিনদিন চলে ডায়ালিসিস। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর নয় এবার করতে হবে কিডনি প্রতিস্থাপন। হাতে সময় কম। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেননি তাঁর মা জাহিরা বিবি। চিকিৎসদের কথা শুনে মেয়েকে আরও একবার জীবন দিতে দুইবার ভাবেননি ৪৮-এর জাহিরা। মেয়েকে প্রাণ দিয়েছেন তিনি। আরও একবার জীবন বাঁচাতে দু’ইবার ভাবেননি তিনি। শুধু মেয়ের জীবন নয়। সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জাহিরার নাতনির শৈশবও। আজমিরার শারীরিক অসুস্থার ভার বহন করতে হচ্ছে তাঁর নয় বছরের নাবালিকা কন্যাকেও। সব দিক দেখেই সাহসী সিদ্ধান্ত জাহিরার।

চিকিৎসকদের বিষয়টি জানাতেই সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রায় হয়ে গিয়েছে। পুজে মিটলেই এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিনামূল্যেই কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবুও অস্ত্রোপচারের পরে মা ও মেয়ের চিকিৎসার অনেক খরচ। সেই অর্থ জোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারটির কাছে। আজমিরার স্বামী জাহির হোসেন শেখ মার্বেলের কাজ করেন। সামান্য রোজগার। তাঁর পক্ষেও দু’জনের খরচ চালানো দুষ্কর। এখন প্রশাসনের সাহায্যে চাইছে এই পরিবার। জাহিরা বিবি বলছেন,
“মেয়েকে যদি সুস্থ করতে পারি, সেটাই হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ। কিন্তু চিকিৎসার তো অনেক খরচ। কীভাবে এত টাকা জোগাড় করব, বুঝতে পারছি না।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ