ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্যান্য দিনের মতোই থালা পেতে মিড-ডে মিল খেতে বসেছিল মুর্শিদাবাদের হাসিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। কিন্তু খাবার মুখে দেওয়ার আগেই ঘটে বিপত্তি। খাবারের সঙ্গে পাতে এসে পড়ে আস্ত পোকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু মজার বিষয় হল, নিজেদের দোষ ঢাকতে পাতে যে পোকা পড়েছে, তা প্রথমে অস্বীকার করেন শিক্ষকরা। উলটে বলেন, পোকা কোথায়? ওগুলি আসলে গোটা জিরে!
সরকারি স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবারের গুণগত মান নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। পড়ুয়ারা টাটকা খাবার পাচ্ছে না, সে অভিযোগও এনেছেন অভিভাবকরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছবিটা পালটায়নি। আর তারই সাম্প্রতিক উদাহরণ এই হাসিমপুর প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। খাবারের পোকা মেলার কথা অভিভাবকদের কানে পৌঁছাতেই তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন। জানতে চাওয়া হয়, পোকা পড়া ওই খিচুড়ি খেয়ে পড়ুয়ারা অসুস্থ হলে তার দায় কে নিত? কীভাবে খাবারে পোকা পড়ল? কিন্তু জবাব দেওয়া তো দূর, পোকা পড়ার ঘটনাই প্রথমে অস্বীকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রোহিত সিনহা বলে, “আমি যখন খাবারে পোকা দেখে শিক্ষককে জানালাম, তিনি তাড়াতাড়ি তা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। বললেন, পোকা নয়, ওটি আসলে গোটা জিরে।” একই কথা শোনা গেল আরেক ছাত্রী বৃষ্টি হালদারের মুখেও। এ প্রসঙ্গে এক অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “যদি মিড-ডে মিলের এই হাল হয়, তাহলে কীভাবে নিজের সন্তানকে স্কুলে পাঠাব বলুন তো? সন্তানরা তো রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।” পরিস্থিতি না পালটালে স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন অভিভাবকরা। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি স্কুল প্রিন্সিপাল। তবে পড়ে চাপের মুখে খাবারে পোকা মেলার ঘটনা স্বীকার করে নেয় কর্তৃপক্ষ। তাদের সাফাই, এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.