Advertisement
Advertisement
অ্যাকাউন্ট

অজানা উৎস থেকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে হাজার-হাজার টাকা, চাঞ্চল্য নদিয়ায়

নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগে সরব তৃণমূল৷

Mystery deposits in Nadia bank accounts ahead of LS polls
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 25, 2019 12:34 pm
  • Updated:March 25, 2019 12:34 pm  

সুবীর দাস, কল্যাণী: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের প্রায় শতাধিক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অজানা উৎস থেকে টাকা ঢুকেছে, এমন খবরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার হরিণঘাটায়। সূত্রের খবর, জাগুলির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখার জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকাগুলি। ঘঠনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন৷ তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করা হয়েছে৷ লিখিত অভিযোগ জানান হয়েছে নদিয়ার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তের কাছে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন:  তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, প্রতিবাদে রেল অবরোধ বিজেপির  ]

হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল দেবনাথ এই অভিযোগ জানান জেলাশাসকের কাছে। জেলাশাসক এবিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। নদিয়া হরিণঘাটা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচুর গ্রাহক দিন চারেক আগে ওই ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখার অধীনস্থ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে ফোন পান। একথা জানিয়ে হরিণঘাটা পুরসভার পুরপ্রধান রাজীব দালাল বলেন, তাঁদের সকলকে ব্যাংকে গিয়ে পাসবুক আপডেট করতে বলা হয়। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়, তাঁদের অ্যাকাউন্টে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ হিসেবে ঢুকেছে। যদিও এরা ঋণের জন্য কেউ কোনও আবেদন করেননি। অন্যদিকে, ৬ নং ওয়ার্ডের পুরসদস্য আজিজুল হক বলেন, এই খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কারণ যাঁদের ব্যাংক থেকে ডাকা হয়েছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে শুনে তাঁরা সকলেই অবাক হন।

[ আরও পড়ুন:  বিজেপিকে ভোট দিলে কন্যাশ্রী থেকে বাদ, তৃণমূল নেতার নিদানে বিতর্ক ]

ওই ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংকের তরফে জানানো হয় উপর মহলের নির্দেশে গ্রাহকদের ঋণ দেওয়া হবে। এদিন যাঁদেরকে ব্যাংকে ডাকা হয়েছে তাঁরা টাকা পাওয়ার সম্ভাবনায় খুশি। তাঁদেরই একজন পম্পা কর্মকার বলেন, “গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে ফোন করে জানানো হয়, অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তাই পাসবই যেন আপডেট করে নেওয়া হয়। অজানা উৎস থেকে আসা এই টাকায় আমি সত্যিই অবাক।” একই মত প্রকাশ করেন গোবিন্দ মুর্মু, সুব্রত বিশ্বাস, শুকদেব দাসের মতো আরও অনেক গ্রাহক।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement