পরিচয়পত্র হাতে ওই ব্যক্তি। নিজস্ব চিত্র
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: একই এপিক নম্বর, নাম এক। অথচ ছবি আলাদা! বনগাঁর বাসিন্দা ভোট দিতে পারেননি ১০ বছর! এদিকে ভূতুরে ভোটার ধরা পড়ল বনগাঁ থেকে দূরে রাজারহাটে। ঘটনা জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিতেই এই ঘটনা। এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, বনগাঁর গাইঘাটা ব্লকের সুটিয়া তেঘরিয়া এলাকার ১১৯ নম্বর বুথের পরিমল দাস। অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে তিনি ভোট দিতে পারছেন না। ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই, বলে প্রতিবার বলা হয়! কিন্তু কেন ভোট দিতে পারেন না? সেই প্রশ্ন করেও উত্তর পাওয়া যায়নি। এসআইআর ইস্যুতে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তখনই দেখা যায়, অন্য এলাকায় একই নাম, এপিক নম্বরে অন্য ব্যক্তির ছবি আছে। পেশায় দিনমজুর পরিমল দাসের নাম, বাবার নাম, ভোটার নম্বর একই রয়েছে বারাসত লোকসভার অন্তর্গত রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার ১০২ নম্বর বুথে। ওই বুথের ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ৪১৩ তে নাম রয়েছে।
পরিমলবাবু জানান, তিনি কখনওই স্থানান্তরের আবেদন করেননি। তাহলে কেন তাঁর নাম ওই তালিকায় উঠল? তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর কোনও আত্মীয়ের বাড়িও ওই অঞ্চলে নেই। এরপরেই তিনি গাইঘাটা থানা এবং গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু ১০ বছর ধরে তিনি কেন বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন, কমিশনের দ্বারস্থ হননি? তিনি জানিয়েছেন, একাধিকবার বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিডিও ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে সম্পূর্ণ বিষয়টি শুনবেন বলে খবর। সব কাগজপত্র নিয়ে তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কেন তিনি ভোট দিতে পারবেন না? সুটিয়া তেঘড়িয়া বুথে তাঁর ভোটের ব্যবস্থা করা হোক। সেই দাবি করেছেন পরিমল। এ বিষয়ে গাইঘাটা তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিকেই দায় করেছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.