প্রসাদ নিচ্ছেন নার্গিসরা। নিজস্ব চিত্র
সুমন করাতি, হুগলি: দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দিরের উদ্বোধনের পর লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হচ্ছে। রাজ্যের সব জায়গায় রেশন দোকান থেকে জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিলি চলছে। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় দিঘার মন্দিরের প্রসাদ বিষয়ে সম্প্রীতির ছবি দেখা গিয়েছে। এবার সেই সম্প্রীতি দেখা গিয়েছে, হুগলির আরামবাগে। প্রসাদ নিয়ে নার্গিস বেগম বলেন, “উপরে একজনই আছেন। বিভিন্ন নামে তাঁকে ডাকি।”
রবিবার আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেশন দেওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দিরের প্রসাদও বিলি হতে থাকে। রেশনের লাইনে অন্যান্যদের সঙ্গে ছিলেন নার্গিস বেগম, আশরাফ আলি, নইমুদিন খানরা। রেশনের পাশাপাশি তাঁরা দিঘার মন্দিরের প্রসাদের প্যাকেট হাতে নিলেন। পরিবারের সকলের জন্য সেই প্রসাদ নিয়ে যাওয়া হল বাড়িতে। প্রসাদের প্যাকেট হাতে নিয়ে নার্গিস জানান, বাড়িতে স্বামী, দুই সন্তান ও শাশুড়ি আছেন। আগেই তাঁরা শুনেছিলেন, রেশন থেকে দিঘার মন্দিরের প্রসাদ বিলি করা হচ্ছে। এদিন সেই প্রসাদই তিনি নিলেন। প্রসাদ হাতে পেয়ে হাসিমুখে ভালো লাগার কথা জানান নার্গিস। তিনি বলেন, “উপরে একজনই আছেন, বিভিন্ন নামে তাঁকে ডাকি। অন্যরা কী করছে, বলতে পারব না।”
লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন নইমুদ্দিন খান, আশরাফ আলিরা। তাঁরাও অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সেই প্রসাদ নিয়েছেন। নইমুদ্দিনের কথায়, “কে কী বলছেন, জানার দরকার নেই। যার ভালো লাগবে সে নেবে। এটা নিজের ইচ্ছায় প্রসাদ নেওয়া।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির উদ্বোধন করেছিলেন। রথযাত্রার সূচনাও তিনি করেন। বিরোধী রাজনৈতিক শিবির থেকে একাধিক তির্যক মন্তব্য করা হচ্ছে। সেসব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চাও চলছে। রেশন ডিলার অমরনাথ সাহা, শান্তিনাথ সাহা বলেন, “রেশনে যেভাবে মানুষ পরিষেবা পান, সেভাবেই প্রসাদ বিতরণ হচ্ছে। হিন্দু-অহিন্দু সকলেই আসছেন।” আরামবাগ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মমতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাম্প্রদায়িক উস্কানি ব্যর্থ হয়েছে। দিঘার মন্দিরের উদ্বোধন ও প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষ খুশি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.