Advertisement
Advertisement
Kalna Shiv Mandir

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, পুজোর আগেই রামধনু রঙে সেজে উঠছে কালনা রাজবাড়ি ও ১০৮ শিবমন্দির

এই কাজে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।

new light install at burdwan kalna shiv mandir and rajbari

ফাইল ছবি।

Published by: Kousik Sinha
  • Posted:August 25, 2025 3:19 pm
  • Updated:August 25, 2025 6:32 pm   

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: মন্দিরময় কালনা শহরকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে, আলোকিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশিকা কার্যকরি করতে তৎপর কালনা পুরসভা। সেই লক্ষ্যে কালনা রাজবাড়ি ও ১০৮ শিবমন্দিরকে রামধনু রঙে সাজিয়ে তোলার জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে পুরপ্রশাসনের পক্ষ থেকে।

Advertisement

এছাড়াও বছরের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিনগুলিতে যেমন ছাব্বিশে জানুয়ারি, স্বাধীনতা দিবসে তেরঙা আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে মন্দিরগুলি। পুরোনো আলোর পরিবর্তে নতুন আলোর সংযোজন হবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মন্দিরময় নগরী ‘স্বপ্ননগরী’ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন অনেকেই। কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত, উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল নতুন করে আলো বসানোর স্থানগুলি ইঞ্জিনিয়ার ও বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মীদের নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন কয়েক দিন আগে।

পুরপ্রধান জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কালনা যেহেতু মন্দিরময় শহর, তাই সেই শহরকে আলোয় আলোকিত করে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। যাতে পর্যটকরা আরও আকর্ষিত হয়ে বেশি করে এই শহরে আসেন। সেই উদ্যোগ নিয়েই রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কালনা শহরের রাজবাড়ি চত্বর ও ১০৮ শিবমন্দির চত্বরকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সাত রংয়ে, রামধনু রংয়ের মাধ্যমে মান্দরময় শহরকে তুলে ধরা হবে। জাতীয় দিবসগুলিতে তেরঙা আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে মন্দিরগুলি। এই কাজে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, কালনা শহরের রাজবাড়ি চত্বরে বর্ধমান রাজ পরিবারের তৈরি মন্দিরগুলির নির্মাণশৈলী, টেরাকোটার নিপুণ শিল্পকর্ম আজও সকলকে মুগ্ধ করে। সেই টানে বছরভর দেশ বিদেশের পর্যটকরা আসেন। শীত পড়তেই তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক কারণেই পর্যটন মানচিত্রে কালনা শহর যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হওয়া এই কাজ কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের কারণে ‘মন্থর গতি’ তৈরি হয় বলে একসময় অভিযোগ তোলেন পুরকর্তারা। কারণ রাজ্য সরকার মন্দিরের আলোর সৌন্দর্যায়ণে অনুমোদন করলেও কেন্দ্রীয় ওই সংস্থার অনুমতি না মেলায় সময়ে সেই কাজ শুরু হয়নি।

বর্তমানে সেই জট কাটায় নতুন মন্দিরগুলিতে আলো লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হবে কবে? উপপুরপ্রধান বলেন, ” পুজোর আগেই আলো লাগানোর কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আলোর মাধ্যমে কালনা শহরকে মানুষের সামনে নতুন করে তুলে ধরা হবে।” 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ