Advertisement
Advertisement

বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের হাতেই খুন যুবক? নিমতা হত্যাকাণ্ডে জোরাল ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব

এখনও পলাতক অভিযুক্ত।

Nimta youth murder case: Family alleged someone killed him
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 17, 2019 10:46 am
  • Updated:October 17, 2019 10:46 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবমীর রাতে বান্ধবীকে বাড়িতে ছেড়ে ফেরার সময় মৃত্যু হয়েছিল দেবাঞ্জন দাসের। সেই ঘটনার তদন্তে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই যুবকের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর ৮ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও অভিযুক্ত অধরা।

Advertisement

নবমীর রাতে বান্ধবীকে নিয়ে নাইটক্লাবে গিয়েছিল দেবাঞ্জন দাস নামে ওই যুবক। রাত ২ টো নাগাদ বান্ধবীকে বিরাটির সর্দার পাড়ায় তাঁদের বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে এসেছিল দেবাঞ্জন। এরপরই দেবাঞ্জনের মৃত্যুর খবর আসে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ল্যাম্পপোস্ট, তারপর পাঁচিলে ধাক্কা খেয়ে উলটে গিয়েছে দেবাঞ্জনের বিলাসবহুল গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কুড়ি বছরের যুবকের। নিমতা থানা থেকে খবর পেয়ে এরপর রাতেই ঘটনাস্থলে যান দেবাঞ্জনের পরিবার ও পরিচিতরা। বিরাটি ব্রিজে গাড়ির ভিতর উদ্ধার দেবাঞ্জন দাসের রক্তাক্ত দেহ। তবে পুলিশ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা জানালেো গাড়ির চেহারা দেখেই সন্দেহ হয় পরিবারের।

[আরও পড়ুন: ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, ছেলের অত্যাচারে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ অশীতিপর বৃদ্ধা]

এরপর দশমীর সকালে অভিযোগ জানাতে নিমতা থানায় যান দেবাঞ্জনের বাবা। তখনই তিনি দেখতে পান যে, গাড়ির বাঁদিকে সিটের নীচে পড়ে রয়েছে বুলেটের অংশ। এরপরই গোটা ঘটনায় বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন নিহত দেবাঞ্জনের বাবা। তিনি জানান, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তিন বছর সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। মাত্র আড়াই মাস আগে ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় দেবাঞ্জনের। আর তারপর থেকেই দেবাঞ্জনকে প্রাণে মারার হুমকি দিত ওই তরুণীর প্রাক্তন প্রেমিক। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই দেবাঞ্জনকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি দেবাঞ্জনের বাবার।

এমনকী অভিযোগ জানাতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলেই অভিযোগ দেবাঞ্জনের পরিবারের। নিমতা থানায় তাঁরা যখন ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ জানাতে যান, তখন তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলেই দাবি। নিহতের পরিবারের দাবি পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে ওই যুবককে। তাঁদের কথায়, গাড়িটি যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ত, তাহলে চালকের সিটের এয়ারব্যাগ খুলে যেত। কিন্তু, গাড়িতে থাকা এয়ারব্যাগ খোলেনি। তাই দুর্ঘটনা হয়ে থাকলে এয়ারব্যাগ খুলল না কেন? পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ তুলছে তাঁরা। কেনও গাড়িটির এখনও কোনও ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়নি? সেই প্রশ্নও তুলেছে দেবাঞ্জনের পরিবার। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ