Advertisement
Advertisement
Kalayni

সমাধান করেনি অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি! আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্ট IISER-এর পড়ুয়ার

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, 'আমাকে এই বিশ্বের জন্য তৈরি করা হয়নি, মনে হয়।'

No solution from anti ragging committee of IISER, Kalyani, alleges father of dead student
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 9, 2025 8:12 pm
  • Updated:August 9, 2025 8:13 pm  

সুবীর দাস, কল্যাণী: দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার, কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। একের পর এক অভিযোগের পাহাড় জমা মনের ভিতর। আর সেই পাহাড় ডিঙোতে না পেরে মনে হওয়া – পৃথিবীটা তার জন্য নয়। পরিণাম? নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া। কল্যাণীর IISER-এ গবেষণারত পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার নেপথ্যে এমনই করুণ কাহিনি উঠে আসছে। মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির দিকেই আঙুল তুলেছেন অনমিত্র রায়। শনিবার প্রতিষ্ঠানের দু’জনের বিরুদ্ধে হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

শনিবার মৃত গবেষক পড়ুয়া অনমিত্র রায়ের ময়নাতদন্ত করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পুলিশ মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষের পর তাঁর মৃতদেহ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসনিক ভবনের সামনে মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ কোনও সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। অবশেষে বিকেলে মৃতদেহ নিয়ে শ্যামনগরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।

মৃত অনমিত্র রায়ের বাবা তাপস কুমার রায়ের অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁর ছেলের সঙ্গে অন্যান্য পড়ুয়াদের একটা সমস্যা হয়েছিল। তা জানানো হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে। অভিযোগ, সেই সমস্যার সমাধান করেনি অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি। উল্টে কমিটির সদস্যরা এই সমস্যার জন্য অনমিত্রকেই দায়ী করেছে। পাশাপাশি গত ৭ মাস ছেলের উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বাবার। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় গবেষক পড়ুয়া সৌরভ বিশ্বাস ও ল্যাব সুপারভাইজার অনিন্দিতা ভদ্র। বারংবার এই দু’জনের কাছে আগেকার ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন অনমিত্র। কিন্তু তাঁকে ক্ষমা করা হয়নি। উলটে অত্যাচার বেড়েছে বলে দাবি তাঁর।

এদিকে, অনমিত্রর ফেসবুক পোস্টটি প্রকাশ্যে আসায় সেখান থেকেও বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। নিজের উপর হওয়া নির্যাতনের কথা সবিস্তারে লিখে রেখেছেন মৃত গবেষক পড়ুয়া। পোস্ট শেষে সোশাল মিডিয়া বন্ধুদের প্রতি তাঁর আকুতি – ”দয়া করে এটা নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করুন যে আমার সঙ্গে অপব্যবহারকারী সৌরভ বিশ্বাস যেন পিএইচডি না পায় এবং তাঁকে অ্যান্টি-র‍্যাগিং নিয়মের অধীনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আমাকে এই বিশ্বের জন্য তৈরি করা হয়নি, মনে হয়। হ্যাঁ, আমি সেখানে কিছু ভালো মানুষ, কিছু বন্ধু, কিছু ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু আমি আর এটা করতে পারছি না। আমি হাল ছেড়ে দিই। আমি যেন মৃত্যুতে এমন শান্তি পাই যা জীবনে কখনও পাইনি।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement