Advertisement
Advertisement
Northern Tourism

বিদ্রোহের আগুন নেপালে, পুজোর মুখে উদ্বিগ্ন উত্তরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা

নেপাল ঘুরতে যাওয়া বাতিল করতে পারেন পর্যটকরা?

Northern tourism industry worried about uprising in Nepal

প্রতীকী ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 8, 2025 11:08 pm
  • Updated:September 8, 2025 11:08 pm  

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে নেপাল। মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০। সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। ভারতের সীমান্তে বেড়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বলের (এসএসবি) নজরদারি। এই অবস্থায় পর্যটনের উপরেও কালো মেঘের শঙ্কা। পুজোর মুখে বহু পর্যটক নেপাল যাওয়া বাতিল করতে পারেন বলে আশঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

শিলিগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে নেপালে ভারতীয়, বিশেষত বাঙালি পর্যটকদের যাতায়াতের সংখ্যা বাড়ছিল। এবছরও রবিবার পর্যন্ত পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে নেপাল ভ্রমণের জন্য প্রচুর ফোন পেয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকে ওই ছবি পুরোপুরি পালটে গিয়েছে। ফোন আসছে না। পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, কয়েকদিন পর শুরু হবে মরশুম। নেপালের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে এমনিতেই এবার বেশ শঙ্কিত ছিলেন পর্যটকরা। পরিস্থিতি জানতে ঘনঘন ফোন আসছিল। সোমবারের অস্থিরতা যদি চলতে থাকে তবে নিরাপত্তার কথা ভেবে কেউ যেতে চাইবে না।

এদিকে ফের নেপালে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হতে পানিট্যাঙ্কির ভারত-নেপাল সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে এসএসবি। কড়াকড়ি বেড়েছে ওপারেও। পানিট্যাঙ্কি থেকে নেপাল যাওয়ার পথে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। যাতায়াতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। পরিচয়পত্র দেখানোর পর যাতায়াতের অনুমতি মিলছে। এপারে এসএসবি ওপারে নেপালের সশস্ত্র বাহিনীর কড়াকড়িতে মেচি নদীর সেতুতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

নেপাল সরকার সমাজমাধ্যম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। সরকার বিরোধি স্লোগান তুলে সংসদ ভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। মৃত্যু হয় সাধারণ মানুষের। পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোরালো। কিছুদিন আগেই রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে নেপালের রাজধানী। কাঠমান্ডুতে এক সাংবাদিক-সহ দু’জনের মৃত্যুর হয়। তবে ওই সময় সেখানকার পরিস্থিতির আঁচ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের কাঁকরভিটা, পানিট্যাঙ্কিতে পড়েনি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ভারত সীমান্তে আঁচ না পৌঁছলেও পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করছেন ঘটনা অনেক দূর গড়াতে পারে। এবার নেপালে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই কমবে। অথচ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ আয় উৎস পর্যটন ও পর্বতারোহণ।

বিশ্বের শীর্ষ দশটি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে আটটি নেপালে রয়েছে। গত বছর পর্বতারোহণ থেকে নেপালের আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নেপাল গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল। এরপর থেকে নেপাল ভ্রমণের কথা কেউ ভাবতে পারেনি। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট স্যান্যাল বলেন, “গত দু’বছর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। গত বছর রেকর্ড সংখ্যক বাঙালি পর্যটক নেপালে বেড়াতে গিয়েছেন। এবার ভালো সাড়া ছিল। কিন্তু সোমবারের ঘটনার সম্ভাবনা নেই বললে চলে।” রাজ্যের তরফেও পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে। রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “নেপালের পরিস্থিতি গড়ালে পর্যটনের উপরে খারাপ প্রভাব পড়বে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement