অলংকরণ: অরিত্র দেব।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের অভিশাপ! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে নবম শ্রেণির ছাত্রীর অশ্লীল ছবি তৈরি, তা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে স্কুল চত্বর এবং থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের পুরিয়া মহেশপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক কিশোরী পড়ুয়ার মুখমণ্ডলের ছবি বসিয়ে ‘এআই’-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে অশ্লীল ছবি তৈরি করা হয়েছে। তা আপাতত ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। তা নজরে আসায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছে ওই ছাত্রী। এহেন কুকীর্তিতে কাঠগড়ায় ওই স্কুলেরই চার ছাত্র। শনিবার এই ঘটনায় সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত সহপাঠীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হলেন স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া, অভিভাবকরা। কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে তাদের দাবি, অভিযুক্ত চার ছাত্রের কঠোরতম শাস্তি চাই। চার ছাত্রের বিরুদ্ধে এদিন সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিবাদী নবম শ্রেণির ছাত্রীরা অভিযোগের সুরে জানাচ্ছে, ”স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও আমাদের এক বান্ধবীর ছবি মোবাইল ফোনে তুলে স্কুলেরই চার দশম শ্রেণির দাদারা খারাপ ছবির সঙ্গে বান্ধবীর মুখ বসিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছে। এটা খুব অন্যায়। শাস্তি না হলে আমরাও এই জঘন্য ঘটনার শিকার হতে পারি।” একই অভিযোগে সরব হন অভিভাবকরা। এক অভিভাবকের অভিযোগ, “কয়েকদিন আগে কালিয়াগঞ্জের হরলাল বালিকা বিদ্যালয়ের হস্টেলের মেয়েদের স্নানের দৃশ্য সিসি ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগে স্কুলের অঙ্কন শিক্ষক-সহ দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হস্টেলে এখন আর ছাত্রী নেই।”
নিজের স্কুলে ঘটে যাওয়া আপত্তিকর ঘটনা নিয়ে পুরিয়া মহেশপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত মজুমদার বলছেন, “কখন কে মোবাইল নিয়ে ক্লাসে ঢুকছে, তা চিহ্নিত করা সবসময় সম্ভব নয়।” এদিকে কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.