Advertisement
Advertisement
Bardhaman

লোকসভার ভোট গণনায় ফর্ম নিয়ে দুর্নীতি! বর্ধমানে বিজেপি জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে সরব আদি পদ্মকর্মীরা

আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।

Old bjp activists raise voice against district leaders in Bardhaman
Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 19, 2025 1:44 pm
  • Updated:September 19, 2025 1:44 pm   

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: গত লোকসভা নির্বাচনে জেলা নেতৃত্ব ‘১৭ সি ফর্ম’ নিয়ে চূড়ান্ত গাফিলতি দেখিয়েছে। কার্যত রাজ্যের শাসকদলের হাতে বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের আসন দুটি তুলে দিয়েছে। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন আদি বিজেপি নেতাকর্মীরা। অভিযোগ তুলেছেন। ১৭ সি ফর্ম নিয়ে দুর্নীতি করেছেন জেলা নেতৃত্ব। যার ফলে বিজেপির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে হারতে হয়েছিল। আর পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়েছে।

Advertisement

কোনও বুথে ভোটগ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার ১৭ সি ফর্ম বুথ এজেন্টের দিয়ে থাকেন। যাতে বুথ কত ভোট পড়েছে, কতজন ভোট দেয়নি, ইভিএম নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য থাকে। বুথ এজেন্ট তা সংশ্লিষ্ট দলের নেতৃত্বের কাছে জমা দেন। গণনাকেন্দ্রে ওই ফর্ম নিয়ে যান সংশ্লিষ্ট কাউন্টিং এজেন্ট। যা নির্দিষ্ট ইভিএম মিলিয়ে দেখেন তাঁরা। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে এই ফর্ম নিয়ে যেতে পারেননি বহু কাউন্টিং এজেন্ট। গণনায় কোনও কারচুপির অভিযোগ থাকলে এই ফর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মামলা হলে আদালতে এই ফর্ম যাচাই করা হয়। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নথিই নেই জেলা নেতৃত্বের হাতে। যা জেনে অবাক অনেকেই।

আদি বিজেপি কর্মী পিন্টু সাহা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমাদের কাছে ১৭ সি ফর্ম নিয়ে গেল। কিন্তু কাউন্টিংয়ে ব্যবহার‌ হয়নি। তাই আমরা আবার সেগুলো ফেরত নিয়ে নিয়েছি। জানা গিয়েছিল, ভোটের সময় যার পোলিং এজেন্ট হয়েছিল ১৭ সি ফর্ম জমা দিলে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল। হয়তো টাকা দেওয়ার ভয়ে বা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে ভোট কাউন্টিংয়ের সময় ১৭ সি ফর্ম গণনা কেন্দ্রে পাঠায়নি।’’ আর এক আদি বিজেপি নেতা টোটন নায়েক লিখেছেন, “মেমারি বিধানসভার কনভেনরের কাছে ৬টা ফর্ম পড়ে আছে। ভোটের সময় বুথে এজেন্ট দেওয়ার দরকরই ছিল না এত ঝামেলা করে। সব তো নেতারা আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।”

আদি বিজেপি নেতা কেশব কোঙার বলেন, ‘‘এই ফর্ম নিয়ে বিশাল দুর্নীতি হয়েছে। একটা বিধানসভা এলাকা থেকে ২০-২৫টি ফর্ম ১৭ সি জমা না হওয়া মানে ২৮ থেকে ৩৫ হাজার ভোট বিক্রি হয়ে যাওয়া। ২০২১ সালের পর থেকে প্রত্যেকটা জেলা সভাপতি, জেলার জিএস, জেলা ইনচার্জ, জেলা কনভেনররা এই দল বিরোধী কাজে জড়িত। এই পদ্ধতি চালাতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সক্রিয় কার্যকর্তাদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। সাধারণ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন পূর্ব বর্ধমান বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানে দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সভানেত্রীকে অতি দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে। ২০২৪-এ বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন অভিজিৎ তা। আর ২০২৪ এ কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সভানেত্রী স্মৃতিকণা বসু জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন ও মেমারি বিধানসভার দায়িত্বে ছিলেন। মেমারি বিধানসভায় তিনটি ১৭ সি ফর্ম ধরা পড়েছে। এ রকম আরও বহু আছে।’’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ