সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার অনুপম হাজরা। ‘রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এহেন অসংবেদনশীল মন্তব্যের প্রতিবাদ করলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপি নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। টুইট করে তাঁর প্রতিক্রিয়া, উপাচার্যের এই মন্তব্যে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত অনুভব করছেন। কারণ, তাঁর কাছে রবীন্দ্রনাথ কোনও ব্যক্তি নন, আবেগ। পাঁচিল ভাঙচুরের মতো বিশৃঙ্খল ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে তিনি অনশন আন্দোলনে নামতেও রাজি বলে টুইটে উল্লেখ করেছেন।
: গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে “বহিরাগত” বলা !!!
Advertisement— Anupam Hazra (Dr. Anupam Hazra) (@tweetanupam)
পৌষমেলার মাঠে ৮ ফুট পাঁচিল তোলার কাজ ঘিরে এখন সমালোচনার কেন্দ্রে বিশ্বভারতী (Vishva Bahrati) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কবিগুরুর হাতে তৈরি মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে পাঁচিল তোলার সিদ্ধান্ত এককভাবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীরই, এই অভিযোগে সরব পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গত সপ্তাহে উপাচার্য নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল তোলার কাজ করালেও, স্থানীয়দের একাংশ পে-লোডার নিয়ে গিয়ে সেই নির্মাণ ভেঙে দেন। এই নজিরবিহীন অশান্তির পরই ফের খবরের শিরোনামে চলে আসে দেশের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
সেই প্রসঙ্গে উভয় তরফের বাকযুদ্ধের মাঝে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেন। তাঁর কথায়, ”গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি যদি এই অঞ্চল পছন্দ না করতেন, বিশ্বভারতী এখানে বিকশিত হত না। এছাড়াও তাঁর সহকর্মীরা, যাঁরা বিশ্বভারতীকে জ্ঞান-সৃষ্টি এবং বিস্তারের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিলেন, তাঁরা সকলে বোলপুরের বাইরে থেকে এসে ছিলেন।” এই মন্তব্যে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে সবমহলে। জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল উপাচার্যকে ‘অসুস্থ, পাগল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
এবার বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী হিসেবে উপাচার্যের ওই মন্তব্যের সমালোচনায় টুইট করলেন অনুপম হাজরা। টুইটারে তিনি রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বভারতী নিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এ ধরনের মন্তব্য তাঁকে ব্যথিত করে তুলেছে। রবীন্দ্রনাথকে ‘বহিরাগত’ বলা তাঁর কাছে শ্রুতিমধুর মনে হয়নি। পাশাপাশি পাঁচিল ভাঙার ঘটনায় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের’ কাঠগড়ায় তুলেছেন। লিখেছেন, দোষীরা কঠোর শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তাঁর লড়াই চলবে এবং প্রয়োজনে তিনি অনশন আন্দোলনও করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.