Advertisement
Advertisement
Bongaon

মা-বাবার নাম নেই ভোটার লিস্টে, এবার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন

ঘটনা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

Parents' names not in voter list, now question on citizenship of BJP MLA from Bangaon South

বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:August 12, 2025 6:41 pm
  • Updated:August 12, 2025 6:44 pm   

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার পর এবার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠল। প্রশ্ন তুলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় স্বপন মজুমদার ও তাঁর বাবা-মায়ের নাম নেই। এই বিষয়ে বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্বপন মজুমদাররা বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। আরও একবার সেই বিতর্কও সামনে এসেছে।

Advertisement

এসআইআর নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখছেন সাধারণ বাসিন্দারা। সেই আবহে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার বাবা-মায়ের নাম ওই ভোটার তালিকাইয় নেই বলে অভিযোগ ওঠে। বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানানো হয়েছে মতুয়া মহাসংঘের তরফে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরেক বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠল।

বনগাঁর সংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সব্যসাচী ভট্ট অভিযোগ করেছেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বিধায়ক ও তাঁর বাবা-মায়ের নাম নেই। পাশাপাশি তিনি মহকুমা শাসক ও সংবাদমাধ্যমের সামনে বাংলাদেশের দুটি নথি জমা দিয়েছেন। যেখানে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ১৪ নম্বর নিজামুদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহম্মদ রবিউল শেখ দাবি করছেন, স্বপন মজুমদার ও তাঁর পরিবার বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা ভারতে আছেন। সব্যসাচী ভট্ট ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশের একটি দলিল সামনে এনেছেন। সেখানে স্বপন মজুমদারের বাবা সন্তোষকুমার মজুমদার দলিলের দাতা হিসেবে উল্লেখ আছে। তৃণমূলের অভিযোগ, স্বপন মজুমদার বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ২০০২ সালের পর ভারতে এসে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ। স্বপন মজুমদার বলেন, “২০০২ সালের আগে আমার বাবা মারা যান৷ কর্মসূত্রে আমি মুম্বইতে চলে গিয়েছিলাম৷ যখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য শুনানি হত, তখন আমি শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারিনি৷ সেই কারণে পরবর্তী সময়ে আমি নাম তুলেছি৷” তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সব প্রয়োজনীয় নথিপত্র আমার আছে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে৷ উদ্বাস্তুদের নাগরিক করার চেষ্টা করছে৷”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ