Advertisement
Advertisement
Tehatta

তেহট্টে বালক ‘খুনে’র বদলায় গণপিটুনি কাণ্ডে ২০০ জনের বিরুদ্ধে FIR, গ্রেপ্তার ১

ঘটনার পর থেকে প্রায় পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম।

Police arrest a person in Tehatta murder and lynching case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 8, 2025 10:40 am
  • Updated:September 8, 2025 1:38 pm   

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বালক খুন এবং গণধোলাইতে মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এখনও থমথমে তেহট্ট (Tehatta)। এই পরিস্থিতিতে গণপিটুনির ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তারি। মোট ২০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত ওই যুবক তেহট্টের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে। ঠিক সেই সময় করিমপুর থানা এলাকা থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।

Advertisement

গত শনিবার নদিয়ার তেহট্টের ৯ বছরের বালক খুনের ঘটনার পর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত উৎপল এবং সোমার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাদের বউমা নিশা। সেই ঘটনার পুলিশ সম্প্রতি ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গায় সর্বক্ষণের জন্য পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। করা হয়েছে আলোর ব্যবস্থা। লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। যে স্থানে দম্পতিকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল সেই জায়গা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে গণপিটুনিতে ব্যবহৃত ভাঙাচোরা বাঁশের টুকরো, রক্তের দাগ। যতক্ষণ পর্যন্ত ফরেনসিক দলের আধিকারিকরা এসে নমুনা সংগ্রহ না করছেন ততক্ষণ ওই জায়গার ধারে কাছে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না পুলিশ। নিহত বালকের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা আসছেন, সমবেদনা জানিয়ে নিঃশব্দে তারা ফিরে যাচ্ছেন। একমাত্র পাখির ডাক ছাড়া গ্রামে আর কোন মানুষের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।

এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। চলছে পুলিশের টহলদারি। শুনশান এলাকা। মুখ খুলতে চাইছে না কেউ। এক কথায় বলতে গেলে থমথমে পরিবেশ। ঘটনার পর থেকে শুনশান এলাকা। আতঙ্কে গ্রামের মানুষ। অধিকাংশ পুরুষ আত্মগোপন করে রয়েছে। এলাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা। গা ছমছম এক আতঙ্কের পরিবেশ এখন নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। এদিকে, একমাত্র সন্তানকে হারানোর শোকে এখনও কাতর বালকের বাবা-মা। ডুকরে কেঁদে চলেছেন তার মা। বাকরুদ্ধ সন্তানহারা বাবা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ