ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ ও সঞ্জিত ঘোষ: কৃষ্ণনগরে কলেজছাত্রী খুনে পুলিশের জালে ‘ব্যর্থ প্রেমিক’ দেশরাজের মামা। কুলদীপ সিং নামে ওই ব্যক্তিকে গুজরাটের জামনগর থেকে পাকড়াও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর দেশরাজ মামার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাকে পালাতে সাহায্য করে ধৃত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মদত দেওয়া, আটকে রাখা, খুনের ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
দেশরাজ আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বাংলায় উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে থাকত।কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ঢুকে ঈশিতাকে নৃশংসভাবে খুনের পর উত্তরপ্রদেশে দেশরাজ পালিয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। দেশরাজকে ধরতে কৃষ্ণনগর পুলিশের তিনটি দল উত্তরপ্রদেশের তিনটি ভিন্ন ঠিকানায় পৌঁছেছে। সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে দেশরাজের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি সিম কার্ড উদ্ধার হয়। শুক্রবার দেওরিয়া শহরের কাছেই একটি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কুলদীপ সিং নামে একজনকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। সম্পর্কে সে দেশরাজের মামা বলেই খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্পর্ক শেষ করতে চাইছিলেন ঈশিতা। সম্পর্ক বাঁচাতে দেশরাজ তাঁকে হুমকি দিতে থাকে। নিজের হাত কাটা, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ভিডিও দেশরাজ তাঁকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তাতেও মন গলেনি ঈশিতার। তারপরই সম্ভবত তাঁকে খুনের ছক কষা হয়। ঈশিতা ও দেশরাজের বন্ধুদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানেই বন্দুকের ছবি পোস্ট করেছিল দেশরাজ। সঙ্গে লেখে,‘ডেডবডি সুন’। কার মৃতদেহের কথা বলেছিল সে? প্রশ্নের উত্তর এখন স্পষ্ট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের খুড়তুতো ভাই নীতিন প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করেছিল দেশরাজ। দু’জন মিলেই কি ওই তরুণীকে খুনের পরিকল্পনা করে, উঠছে সে প্রশ্ন। ধৃতকে জেরা করে কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা মল্লিক খুনের রহস্যের জট খুলবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.