গোবরডাঙার এই ঢালি পরিবারই পুলিশি প্রশ্নের মুখে। নিজস্ব ছবি।
অর্ণব দাস, বারাসত: ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন লোকের সংখ্যা কম নয় বাংলায়। তেমনই এক পরিবারের খোঁজ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় পায়রাগাছি এলাকার। বিষয়টি জানাজানি হতেই শনিবার ওই বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা-সহ নথি যাচাই করল পুলিশ। কীভাবে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে তাঁরা আধার, ভোটার কার্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে চাননি পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গোবরডাঙা থানার বেড়গুম ২ পঞ্চায়েতের পায়রাগাছি গ্রামের বাসিন্দা তারকনাথ ঢালি ও তাঁর পরিবারের আসল বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ঝিটকি গ্রামে। সেখানকার ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। আবার এদেশেও নাগরিক হিসেবে আধার এবং ভোটার কার্ডও রয়েছে এই পরিবারের সদস্যদের। এসআইআর আবহে এমন খবর সামনে আসতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে কি তাঁরা বৈধ নাগরিক নন? এসআইআর হলে নাম বাদ পড়বে?
এসব আশঙ্কার মাঝে গৃহকর্তা তারকনাথ ঢালি জানিয়েছেন, তিনি দশ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে গোবরডাঙায় এসে বসবাস করছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কিভাবে এদেশের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড পেলেন, তানিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। তাঁর একটাই বক্তব্য, ”বহু বছর হল আমরা বাংলাদেশ ফিরিনি।”
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও এদেশে এসে ঢালি পরিবার কীভাবে ভারতের নাগরিকত্বের এত প্রমাণ জোগাড় করল? মাধ্যম হিসাবে কে বা কারা এই কাজে তাঁদের সহযোগিতা করল? গোটা বিষয়টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, নথি খতিয়ে দেখে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে এ প্রসঙ্গে হাবড়া ১ ব্লকের বিডিও সুবীর দণ্ডপাট জানিয়েছেন, “বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ হলে অবশ্যই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.