Advertisement
Advertisement
Duttapukur

ধড়-মাথা আলাদা করেই জম্মুতে গা ঢাকা অভিযুক্তের! দত্তপুকুরের কাটা মুন্ডু রহস্যে নয়া তথ্য

কোথায় কাটা মুন্ডু? ধৃত জলিলকে জেরায় মিলেছে সেই ইঙ্গিত, দাবি পুলিশের।

Police gets new information on the case of killing youth and separate body-head at Duttapukur

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 15, 2025 9:13 pm
  • Updated:February 15, 2025 9:20 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: দত্তপুকুরের চাষের জমিতে যুবকের মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারে রহস্যের জট খোলা আর সময়ের অপেক্ষামাত্র। কোথায় কাটা মুন্ডু? অভিযুক্তকে জেরা করে তার ইঙ্গিত পেলেন তদন্তকারীরা। আশা, দ্রুতই তা উদ্ধার হবে। এই ঘটনায় সুদূর জম্মুর সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম সাম্বা থেকে চতুর্থ অভিযুক্ত মহম্মদ জলিল গাজিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাকে সাত দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে ফেরার আগেই পুলিশ জানতে পেরেছে, জলিলই নিহত হজরত লস্করের ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করেছিল। তারপর কাটা মুন্ডু লুকিয়ে ঘটনার পরের দিন জম্মু পালিয়েছিল। ট্রেনের টিকিটও সে খুনের আগেই কেটে রেখেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

শনিবারই ধৃত জলিলকে দত্তপুকুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার তাকে বারাসত আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ‘মাথা’ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে। তবে সে কোথায় মাথা লুকিয়ে রেখেছিল তার ইঙ্গিত মিলেছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। দিন পনেরো আগে, ৩১ জানুয়ারি খুনের ঘটনার পরে নিহতের পরিচয় জানতে পেরে হজরতের আত্মীয় ওবায়দুল গাজি এবং প্রাক্তন স্ত্রী পূজা দাসকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পারেন ত্রিকোণ প্রেম এবং অপরাধমূলক জগতের আক্রোশ থেকে এই খুনের কথা। ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করে স্বামী জলিলের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশ জানতে পারে, ধৃত জলিলই হজরতকে ফোন করে গাইঘাটা থেকে দত্তপুকুর ডেকেছিল।

তারপর ৩ ফেব্রুয়ারি সে এলাকা ছাড়ে। পালিয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রী সুফিয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কলে জলিলের যোগাযোগ ছিল। জলিল এবং সুফিয়া দুজনেই আগে জম্মুতে কাজ করত। সেই সূত্রে জলিল জম্মুতে পালিয়ে থাকতে পারে অনুমান করে বামুনগাছি, শিয়ালদহ এবং কলকাতা রেল স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়।

এরপর বারাসত পুলিশের তরফে চারজনের একটি দল জম্মু পৌঁছয়। সেখান থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত লাগোয়া সাম্বা গ্রামে তখন ভাঙাচোরা জিনিস ফেরি করছিল জলিল। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাম্বা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরত্বে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রথমে সীমান্ত টপকে পাকিস্তান চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল জলিলের। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে পালানোর সাহস না দেখিয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতেই সে ভাঙাচোরা জিনিসপত্রই ফেরি বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement