ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) দ্বারা গঠিত কমিটির নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতীর বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক উঠছে পাঁচিল! স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার জেরে আবার বন্ধ হয়ে গেল শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে রতনকুঠির পিছনের রাস্তায় পাঁচিল দেওয়ার কাজ। নির্মাণ সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করে শান্তিনিকেতন থানা।
বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University) পাঁচিল নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ চলছে। পৌষমেলার মাঠ পাঁচিলে ঘেরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের সূত্রপাত। বছরের প্রথম দিনেই শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে সুরশ্রীপল্লী যাওয়ার রাস্তায় নির্মীয়মাণ পাঁচিলের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। নির্মাণ সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ।
প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচিল নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অসুবিধাকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। একইভাবে রাস্তার উপর হঠাৎ করে পাঁচিল তুলে দেওয়া যাবে না। রতনপল্লির বাসিন্দা শর্মিলা রায় পোমো এবং অন্য স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়ির সামনেই চলার পথ আটকে পাঁচিলের কাজ শুরু হয়েছে। এই রাস্তা সাধারণের চলাচলের জন্য এবং রতনপল্লি বাজারে যাওয়ার সহজ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রথম থেকেই।
শর্মিলা রায় পোমোর কথায়, “এখানে পাঁচিল হলে যাতায়াতের অত্যন্ত অসুবিধা হবে। যে সব প্রবীণ নাগরিকরা এই এলাকায় বসবাস করেন তাঁরা বড় রাস্তায় গাড়ির ভিড় এড়াতে এই পথ এতকাল ব্যবহার করে এসেছেন।” জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘কলকাতা হাই কোর্টের গঠিত কমিটির নির্দেশ ছাড়া কোনও নতুন নির্মাণ করা যাবে না। যেহেতু ওঁরা নির্দেশ দেখাতে পারেননি, তাই কাজ বন্ধ রেখে কমিটিকে জানানো হয়েছে।’’ এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.