রাজা দাস, বালুরঘাট: মেদিনীপুর মেডিক্যালের পর দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন একের পর এক প্রসূতি। কমপক্ষে ৮-১০ জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেই খবর। রাতেই পৌঁছন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
প্রসূতির পরিবারের লোকজনের দাবি, গত শুক্রবার সকালে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বেশ কয়েকজন ভর্তি হন। রাতে তাঁদের একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। অভিযোগ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হতে শুরু করে তাঁদের। কারও কাঁপুনি দিতে শুরু করে। কেউবা শ্বাসকষ্টে ছটফট করতে থাকেন বলেই অভিযোগ। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সিসিইউতে। এই খবর শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে গাফিলতির অভিযোগে সরব হন। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ সেন। একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ সেন বলেন, বর্তমানে প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থা ঠিকই আছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন কাণ্ডে শিরোনামে চলে আসে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি, মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। তাঁরা হলেন রেখা সাউ, মামণি রুইদাস, মাম্পি সিং, মিনারা বিবি এবং নাসরিন খাতুন। নাসরিনই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। অভিযোগ, মেয়াদোত্তীর্ণ রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই মৃত্যু হয় মামণির। বাকি চারজনের অবস্থা ক্রমশ আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। একমাত্র রেখা ওই হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাকি মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। টানা চিকিৎসায় মাম্পি, মিনারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.