Advertisement
Advertisement
SSC

SSC-তে ‘ভুয়ো’ নিয়োগ বাতিল করে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু রাজ্যে

হাই কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগেই নিযুক্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় প্রশাসন।

Process of removal of ‘fake’ recruitment in SSC now started in West Bengal। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:April 24, 2022 11:03 am
  • Updated:April 24, 2022 1:23 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: চলতি বিতর্কের মুখে দাঁড়িয়ে এসএসসি-র (SSC) গ্রুপ ডি ও নবম-দশমে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন অথচ ভুয়ো নিয়োগ, তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। সেই জায়গায় ন্যায্য অর্থাৎ যোগ্যতা অনুসারে প্রাপকদের কীভাবে চাকরিতে নিযুক্ত করা যায়, প্রক্রিয়া শুরু করে দিল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। নবান্ন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

Advertisement

আইনি প্রক্রিয়া মেনে কীভাবে জরুরি ভিত্তিতে হাই কোর্টে পরবর্তী শুনানির আগেই ভুয়ো নিয়োগের জায়গায় যোগ্যদের নিযুক্ত করা যায়, নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে শিক্ষা দপ্তর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ করে নবান্নকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য চাইছে আইনি প্রক্রিয়া যেমন চলছে চলুক কিন্তু ভুয়ো নিযুক্তদের সরানোর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘বেআইনি’ বা ভুয়ো নিয়োগ যেগুলি চিহ্নিত হয়েছে, তাঁদের সরিয়ে ওই জায়গায় যোগ্যদের নেওয়া হবে। নিরপেক্ষভাবে সেই চিহ্নিতকরণের কাজও দ্রুত শেষ করা হবে।

[আরও পড়ুন: আমজনতার হেঁশেলে আগুন, আরও বাড়তে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম!]

রাজ্য বিষয়টিতে আর জল গড়াতে দিতে চাইছে না। আর তাই কীভাবে যোগ্যদের চাকরিতে আনা যায়, সব সিদ্ধান্ত হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। যদিও শিক্ষা দপ্তর থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে নবান্ন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, সেগুলি চিহ্নিত করা হোক। কলকাতা হাই কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগেই সেই কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ মে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের হাতে এখনও কুড়ি দিন সময় রয়েছে। এসএসসি-র বিভিন্ন নিয়োগে বেনিয়ম সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা চলছে একই ডিভিশন বেঞ্চে।

চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায় ২০১৬ সালে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা হয়। নবম ও দশমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগেও একই সালের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিচারপতি বাগের কমিটি গ্রুপ ডি ক্ষেত্রে ৬০৯টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে বলে আদালতে নথি পেশ করেন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিকেও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বাগের অনুসন্ধান কমিটি ‘বেআইনি’ বলে আদালতে জানিয়েছিল।

[আরও পড়ুন: জম্মুতে মোদির সভাস্থলের ১২ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণ, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement