Advertisement
Advertisement
মিড ডে মিল

মিড ডে মিলে মুড়ি-পিঁয়াজ বালির স্কুলে, পড়ুয়াদের কেক- বিস্কুট খাওয়ালেন স্থানীয়রাই

এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন।

Puffed rice and onine served in mid day meal, controversy started
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 3, 2019 6:24 pm
  • Updated:September 4, 2019 4:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নুন-ভাত, শুকনো বিস্কুট, মুড়ি-চানাচুরের পর এবার মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে পড়ল মুড়ি-পিঁয়াজ। হাওড়ার বালি অশ্বত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে মঙ্গলবার অবশেষে কেক-বিস্কুটের ব্যবস্থা করলেন স্থানীয়রাই। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার ফলেই মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের মুড়ি-পিঁয়াজ দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।  

Advertisement

[আরও পড়ুন:মুহুরি পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত]

দিনকয়েক আগে মিড-ডে মিল ইস্যুতে শিরোনামে চলে এসেছিল হুগলির চুঁচুড়া বাণীমন্দির৷ সেখানে মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে জুটেছিল নুন-ভাত৷ এরপর একাধিক স্কুলের অন্দরে হানা দিলে ধরা পড়ে একই ছবি। প্রতিবাদ জানান অভিভাবকরা। মিড-ডে মিলে নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকাও তৈরি হয়। কিন্তু তাতেও যে আদতে কোনও ফলই মিলছে না, ফের তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, সোমবার হাওড়া বালির অশ্বত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলে দেওয়া হয়েছিল শুকনো মুড়ি ও পিঁয়াজ। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক।

যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, “গতকাল গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছে, সেই কারণেই রান্না করা সম্ভব হয়নি। তাই পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে মুড়ি, পিঁয়াজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম।” তবে শুধু সোমবার নয়, মঙ্গলবার মিড-ডে মিলে শুকনো মুড়িও জোটেনি পড়ুয়াদের। পরে এলাকার বাসিন্দাদের তৎপরতায় পড়ুয়াদের জন্য কেক, বিস্কুটের ব্যবস্থা করা হয়। এ প্রসঙ্গে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, “গ্যাসের সমস্যার জন্য রান্না হচ্ছে না।  কিন্তু রোজ তো এভাবে মুড়ি দেওয়া যায় না, তাই এদিন কিছুই দেওয়া হচ্ছিল না। পরে এলাকার বাসিন্দারা বাচ্চাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে।”

[আরও পড়ুন:বনগাঁয় অনাস্থা ভোট সংক্রান্ত বৈঠক, ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল]

এ দিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, “স্কুলের শিক্ষকরা আসলে পড়ুয়াদের নিজের সন্তান ভাবতে পারছেন না। সেই কারণেই এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে।” সেইসঙ্গে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান অনন্যাদেবী।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement