বাবুল হক ও সুমিত বিশ্বাস: আর জি করের ছাত্রীর মৃত্যুর পরতে পরতে রহস্য। শোনা যাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ওই ছাত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেন তিনি। সম্ভবত সেই কারণেই চরমে ওঠে অশান্তি। অভিযোগ, এরপরই রাগে প্রেমিকাকে খুন করেন প্রেমিক। যদিও ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রহস্যভেদে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সূ্ত্রেই পুরুলিয়ার বাসিন্দা উজ্জ্বল সোরেনের সঙ্গে পরিচয় হয় বালুরঘাটের অনিন্দিতা সোরেনের। দু’জনই ডাক্তারি পড়ুয়া হওয়ায় বন্ধুত্ব হতে বিশেষ সময় লাগেনি। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল যুগলের মধ্যে। কিছুদিন আগে বালুরঘাটের বাড়িতে যান অনিন্দিতা। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার কলকাতায় ফেরার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তরুণী। এরপর উজ্জ্বলের ফোন পান সোরেন দম্পতি। মৃতার মায়ের দাবি, তাঁদের জানানো হয় অনিন্দিতা মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি। স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হয়ে যান তিনি। মেয়ে কীভাবে মালদহ গেল, তা বুঝে উঠতে পারেন না।
এরপরই পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান হাসপাতালে। কয়েকদিনের লড়াইয়ের শেষে শনিবার মৃত্যু হয় ছাত্রীর। কিন্তু মালদহে ঠিক কী ঘটেছিল? মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছিলেন তাঁরা মালদহের হোটেলে উঠেছেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনিন্দিতা। মৃতার পরিবারের অনুমান, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তরুণী। সেই কারণেই প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাতেই অশান্তি। আর সেই অশান্তির বলিই হলেন ছাত্রী। অভিযোগ, প্রেমিক উজ্জ্বলই বিষ খাইয়ে খুন করেছে অনিন্দিতাকে। ইতিমধ্যেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.