Advertisement
Advertisement
Raj Chakraborty

মদনের ৩০ সেকেন্ড, সৌগতর ১ মিনিটের পর যাদবপুরে ‘উগ্র’ হতে ২ মিনিটের ডেডলাইন রাজের!

এই ঘটনায় শুধু যাদবপুরই নয়, সিপিএম নিজেও কলঙ্কিত হয়েছে বলে মত বারাকপুরের তারকা বিধায়কের।

Raj Chakraborty threats to take two minutes to retaliate SFI at Jadavpur Univesrity
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 6, 2025 7:09 pm
  • Updated:March 6, 2025 7:45 pm   

অর্ণব দাস, বারাকপুর: ”আমাদের কর্মীদের উগ্র হতে ২ মিনিট সময় লাগবে, কিন্তু দল শেখায়নি যে বিরোধীদের মারতে হবে।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন অশান্তিতে এবার দু মিনিটের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুরসভায় তরফে ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এর আগে তৃণমূলের মদন মিত্র, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রাও এসএফআইয়ের ‘গুন্ডামি’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। মদন মিত্র ৩০ সেকেন্ড, সৌগত রায় ১ মিনিটে পালটা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবার রাজ বললেন, ‘২ মিনিট লাগবে উগ্র হতে।’

Advertisement

গত শনিবার ওয়েবকুপার সভা ঘিরে এসএফআই-এর নজিরবিহীন অশান্তির সাক্ষী থেকেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি আটকে বাম ছাত্র সংগঠনের হামলা চালানোর অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এক ছাত্র আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। এনিয়ে এখনও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও শাসকদলের মধ্যে বাদানুবাদ এখনও চলছে। গাড়ি চালিয়ে ছাত্রদের মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে ব্রাত্য বসু ও ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে। শনিবারের ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল নেতারা একে একে এসএফআই-এর উদ্দেশে একের পর এক তোপ দেগেছেন। প্রথম মুখ খুলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, চাইলে ৩০ সেকেন্ডে পালটা দিতে পারে তৃণমূল।

এবার বারাকপুরের অনুষ্ঠানে সেখানকার তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বললেন ২ মিনিটে ‘উগ্র’ হওয়ার কথা। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ মনে করিয়ে দেন বারাকপুরে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী ঘটনা। বলেন, “২০১৯ সালে নিবার্চনের পরবর্তী সময়ে গোটা বারাকপুর জুড়ে যে অরাজকতা, সন্ত্রাস হয়েছিল একুশের বিধানসভায় আমরা জেতার পরে এমনটা ঘটেনি। শিল্পাঞ্চলের মানুষেরা নিজের দলের আদর্শের কথা বলতে পেরেছেন। এমনটা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আজ যেটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়েছে, সেটা যদি সিপিএমের আমলে হত। যারা এই কাজটা করেছে তাদের খালে পাওয়া যেত। সিপিএমের ঔদ্ধত্য, অহংকার ওদের শূন্যে নিয়ে এসেছে, ওদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।” হুঁশিয়ারির সুরও এদিন শোনা গেল তারকা বিধায়কের মুখে। বলেন, “আমাদেরও অনেক কর্মী আছে, যাদের উগ্র হতে পারে দু’মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু আমাদের দল সেটা শেখায়নি যে বিরোধীদের মারতে। সেটাকে সমর্থনও করে না।”

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা শুধু যাদবপুরকেই নয়, রাজ্যকেও কলঙ্কিত করেছে বলে মত বারাকপুরের বিধায়কের। সিপিএম নিজেও কলঙ্কিত হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “সিপিএম সবসময় এমনই ছিল। ওরা নিজেদের ছাড়া কারওরটা বোঝে না। আমার পরিবারের একটি অংশ একটা সময় বামপন্থী ছিল। কিন্তু আমি কোনওদিন বামপন্থাকে সমর্থন করিনি। কারণ, তখন দেখেছি ওরা ভোট দিতে দিত না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মারধর করত। কারওর কথা বলার অধিকার ছিল না।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ