Advertisement
Advertisement
Rampurhat violence accused refuses to undergo polygraph test sought by CBI

Bagtui Incident: বগটুই কাণ্ডে খারিজ আনারুলের জামিন, পলিগ্রাফ টেস্টে আপত্তি অভিযুক্তদের

আগামী ১৩ এপ্রিল আনারুলের পলিগ্রাফ টেস্ট সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি।

Rampurhat violence accused refuses to undergo polygraph test sought by CBI

বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই। ফাইল ছবি।  

Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 8, 2022 8:20 pm
  • Updated:April 8, 2022 8:20 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বগটুই কাণ্ডে (Bagtui Case) পলিগ্রাফ টেস্টে নারাজ অভিযুক্তরা। এদিন সিবিআইয়ের আবেদন করা আনারুল হোসেন-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের পলিগ্রাফ টেষ্টের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। পাশাপাশি এক বিচারককে দায়িত্ব দেওয়া হয় যাদের পলিগ্রাফ টেষ্টের আবেদন জানিয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলার। অভিযুক্তরা পলিগ্রাফ টেষ্টের সম্মতি দিলে বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি হবে বলে বিচারক জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিনহা জানান, আনারুলের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। সে কারণে আগামী ১৩ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

গত ২১ মার্চ বড়শাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। এরপর বগটুই গ্রামের ন’জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। আনারুল হোসেনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেপ্তার করে সিট। যদিও আনারুলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সে আত্মসমর্পণ করে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই। আনারুল-সহ আট জনের পলিগ্রাফ টেষ্টের আবেদন জনায়। তার পক্ষের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, “আবেদনের দিন তার মক্কেল আনারুলকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তার সম্মতি নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট পলিগ্রাফ টেষ্টের জন্য যে সাত-আট দফা নির্দেশ দিয়েছে তা মানা হয়নি।”

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে হাফিজ সইদ, ৩১ বছরের জেল মুম্বই হামলার মূলচক্রীর]

পলিগ্রাফ পরীক্ষা করে একটি স্বাধীন সংস্থা। তাই তাদের রিপোর্ট কতটা গ্রহণযোগ্য হবে। হাসপাতালের অধীনে তার আইনজীবীর সামনে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করার নিয়ম আছে। সিবিআই যা উপেক্ষা করেছে। তাই আমরা তার বিরোধিতা করেছি। বিচারক আমাদের আবেদনে সিবিআইয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি একজন বিচারককে এই পরীক্ষায় অভিযুক্তদের সম্মতি আছে কিনা সে বিষয়ে কথা বলতে বলা হয়েছে।

আদালত এদিন আনারুল-সহ ধৃত ২১ জনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়। আনারুলকে ২১ এপ্রিল এবং বাকিদের ২০ এপ্রিল ফের হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক। সামাজিক ব্যাপ্তি ও বয়সের কথা মাথায় রেখে আনারুলের আইনজীবী তাকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদায় কারাগারে রাখার আবেদন করেন। যদিও বিচারক এখনও কোনও রায় দেননি। অন্যদিকে, আনারুলের আইনজীবীরা দাবি করেন, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তার মক্কেলের কাছে একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যা গ্রেপ্তারের পর আনারুলের ছেলে সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। সেটিও বিধি মানে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।

[আরও পড়ুন: ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ড: জটিলতা কাটিয়ে তৃণমূল নেতার খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দিল হাই কোর্ট]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement