দেব গোস্বামী, বোলপুর: সদ্যই বীরভূম সফরে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিনের মধ্যে বীরভূমে দুই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার বোলপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল, পু্লিশ কি সতর্ক ছিল না? এরপরই পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে তৎপর হয় জেলা প্রশাসন। বুধবার অন্তত চারটি থানার ওসি, আইসি পদে রদবদল করা হল। সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে পাড়ুই, মল্লারপুর, বোলপুর থানায়।
বীরভূম জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে, বোলপুর থানার এসআই রাহুল ঘোষালকে বদলি করা হয়েছে মল্লারপুরে। সেখানে ওসি পদের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। পাড়ুই থানার ওসি আবদুল হানিফ একই পদে বদলি হয়ে যাচ্ছেন আমোদপুর থানায়। আমোদপুর থানার এসআই ছিলেন মনোজ কুমার। তিনি বোলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে বদলি হয়েছেন। মল্লারপুর থানার এসআইকে বদলি করা হয়েছে সাঁইথিয়া থানায়। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
গত সোমবার দুপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বীরভূমে ২ তৃণমূল কর্মী খুন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কয়েকদিনে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয়ে গেল। আইসির দায়িত্ব ছিল না খবর রাখার? ছিল বলেই আমি মনে করি।” এরপর তিনি আরও বলেন, “খুন হয়ে গেলেই আগে একটা রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু একটা এফআইআর হলে যতক্ষণ সেটা নিয়ে কিছু না প্রমাণ হচ্ছে, ততক্ষণ…।” ডিএম-এসপি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সকলকেই ভেবেচিন্তে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর এই বার্তার পরই বীরভূম জেলা পুলিশে এই রদবদল করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.