Advertisement
Advertisement
RG Kar

‘এতদিন ঘাস কাটছিল?’, মেয়ের মৃত্যুর একবছর পর সিবিআইকে তুলোধোনা অভয়ার পরিবারের

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া 'নারীশক্তি সম্মান' ফিরিয়ে দেন মা।

RG Kar case: Abhaya family snubbed CBI and demand to abolish the central agency after one year of daughter's death
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 8, 2025 4:44 pm
  • Updated:August 8, 2025 6:54 pm   

অর্ণব দাস, বারাকপুর: মেয়ের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের বছর ঘুরে গেল। অথচ সুবিচার এখনও হয়নি বলে অভিযোগ অভয়ার পরিবারের। তাঁদের মূল প্রশ্ন সিবিআই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিকমতো তদন্ত করলে মেয়ের উপর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত বাকিরাও গ্রেপ্তার হতো। অথচ বছর ঘুরলেও এখনও তা হয়নি। দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা থাকলেও তাঁর সাক্ষাৎ মেলেনি। সেখান থেকে ফিরে তাই অভয়ার মা-বাবার দাবি, ”শাহ, বিজেপিকে বলব, সিবিআই দপ্তর তুলে দিতে। দপ্তর রেখে কী লাভ?” শুক্রবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে থাকবেন অভয়ার মা-বাবা।

Advertisement

শনিবার নবান্ন অভিযানেও তাঁরা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে চলেছেন। অভয়ার বাবার কথায়, “সিবিআই যে ৯৩টি রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখান থেকেই আমরা ডিরেক্টরের কাছে প্রশ্ন করেছি। কিন্তু কোনও প্রশ্নের উত্তর উনি দিতে পারেনি। এখন, একবছর পরে এসে বলছে মামলা ছেড়ে দেবে।” এরপরই ক্ষিপ্ত কন্ঠে তাঁর সংযোজন, “তাহলে এতদিন ধরে কী করছিল সিবিআই? ঘাস কাটছিল? সিবিআই দপ্তরটা রাখার কী দরকার? তুলে দেওয়া উচিত। শুধু সেটিং নয়, আর্থিক লেনদেনের ব্যাপার আছে। ওদের সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলতে পারি। অমিত শাহ সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। আমাদের সোমবার পর্যন্ত থাকতে বলেছিল, থাকতে পারিনি। পরে দেখা হলে ওনাকেও বলব, সিবিআই দপ্তরটা তুলে দিতে।”

দিল্লি গিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে নির্যাতিতা চিকিৎসকের মাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা ‘নারীশক্তি সম্মান’ দিতে গেলে ফিরিয়ে দেন তিনি। এনিয়ে তিনি বলেন, ”নারীশক্তি সম্মান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ে ওনাকেই আবার ফিরিয়ে দিয়েছি। বলেছি, তখনই নেব, যখন মেয়ে ন্যায় বিচার পাবে। তদন্তই ঠিক করে হয়নি, তাহলে বিচার হল কী করে?” সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমরা সিবিআই ডিরেক্টরের হাতে প্রশ্নের প্ল্যাকার্ড যার পিছনে লেখা ছিল – ‘সিবিআই, মেরুদণ্ড বাড়ান। নইলে পদত্যাগ করুন’ দিয়েছিলাম। উনি ফিরিয়ে দিলে সরাসরি বলি, সিবিআইয়ের মেরুদণ্ড নেই। সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করে বুঝেছি ওঁরা কোনও কাজ করবে না। তাই বলে এসেছি আমাদের ট্যাক্সের টাকায় সিবিআইকে কেন রেখেছে? দিল্লির বিজেপির দপ্তরে গিয়েছিলাম। কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। হলে একই কথা বলতাম, কেন সিবিআই রেখেছে? নবান্ন অভিযানেও আমাদের এই প্রশ্ন থাকবে। তাতে ওরা (বিজেপি) অস্বস্তিতে পড়লে পড়বে। আমাদের কোনও অস্বস্তি নেই। কারণ আমরা কোনও রাজনীতি করি না।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ