ধসে বন্ধ রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: পুজোর মুখে বিপর্যয়ের কবলে উত্তরের পাহাড়-সমতল। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। ভারী বৃষ্টি চলছে সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে। প্রতিটি পাহাড়ি নদীর জলস্তর বাড়ছে। জলবন্দি বিস্তীর্ণ এলাকা। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ‘লাল’ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজারের উপর দিয়ে জলের স্রোত বইছে। সেভক ছাড়াও সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে ও ভূমিধসে অবরুদ্ধ হয়েছে সড়ক।
ফুলবাড়ি মহানন্দা ব্যারেজের ৯ নম্বর গেটে নিচে আটকে গিয়েছে বিশাল আকারের গাছের গুড়ি। ডুয়ার্সের বীরপাড়া-গেরগেন্ডা সেতুর একাংশ ধসে গিয়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাহাড়-সমতলে প্রবল বর্ষণের জেরে রীতিমতো ফুসছে তিস্তা, জলঢাকা, মহানন্দা, করলা, কালজানি, তোর্সা, রায়ডাক ও সংকোশ। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ‘লাল’ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। শুক্রবার সকালে করলা নদীতে কাপড় ধুতে গিয়ে জলে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন এক মহিলা। জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়া, মহামায়া পাড়া, কদমতলা বৃষ্টির জলে ভেসেছে। জুরন্তী নদীর জলে বাগরাকোট এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টির জলে ভেসেছে ওদলাবাড়ির দক্ষিণ বিধানপল্লি। তিস্তার জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে ক্রান্তির চাপাডাঙা, চাতরারপাড় গ্রাম এবং কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার এলাকা। শুক্রবার সকালে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়েও তিস্তার জল বয়ে গিয়েছে। ব্যাহত হয়েছে যানবাহন চলাচল। উত্তর সিকিমে আগেই বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। জাতীয় সড়কের উপর দিয়েও চলছে ঝুকির যাত্রা। দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু এলাকাতেও ধস নেমে বন্ধ হয়েছে রাস্তা। পুজোর আগে এমন পরিস্থিতিতে ক্রমে দুশ্চিন্তা বাড়ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.