শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: গভীররাতে ভয়াবহ গঙ্গাভাঙন। নদীগর্ভে গোটা বাড়ি। কোনওক্রমে প্রাণ বেঁচেছে বাসিন্দাদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। ঘর ছাড়া বহু পরিবার। গঙ্গার ধারের বহু বাড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে কাঁটা। প্রশাসনের সহযোগিতার আশায় সকলে।
সামশেরগঞ্জে গঙ্গাভাঙন নতুন নয়। আগেও নিমেষে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি, গাছ, মন্দির। সোমবার একইঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ড এবং মধ্য চাচণ্ড এলাকায়। রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমোচ্ছিলেন বাসিন্দারা। আচমকা বিকট শব্দে ঘুম ভাঙতেই টের পান বাড়ির একাংশ গঙ্গার গ্রাসে। তড়িঘড়ি ঘর ছাড়েন তাঁরা। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গরু, বহু গাছ। প্রাণে বাঁচলেও বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে গঙাগর্ভে। আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও বিপজ্জনক অবস্থায়। ফাটল দেখা গিয়েছে নদী সংলগ্ন মন্দিরে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বাড়ির আসবাবপত্র যতটুকু নেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কয়েকশো পরিবার। খবর পাওয়া মাত্রই প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন দুর্গতরা।
জানা গিয়েছে, ফরাক্কা ব্যারেজে গঙ্গার জলস্তর বিপদ সীমা থেকে ৭.১০ ফিট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় ফরাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে জল স্তর ছিল ৮০.১০ ফিট, ডাউন স্ট্রিমে ছিল ৭৮.৯৫ ফিট। সোমবার রাত থেকে ফরাক্কা পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করে গঙ্গা ও বাগমারি নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার আবেদন জানান হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর বিপদ সীমার অনেক উঁচু দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.