Advertisement
Advertisement
Diamond Harbour

ডায়মন্ড হারবারে ভাঙনে নদীগর্ভে রাস্তা-জেটিঘাট, বন্ধ দুই জেলার সঙ্গে জলপথে যোগাযোগ

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে।

Roads and jetties submerged in river due to erosion at Diamond Harbor

নদীগর্ভে জেটি। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 10, 2025 3:21 pm
  • Updated:September 10, 2025 3:22 pm   

সুরজিৎ দেব, ডায়মণ্ড হারবার: গতকালই রাস্তায় ফাটল ও ধস দেখা গিয়েছিল। ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নুরপুর জেটিঘাটের কাছে বাঁধের রাস্তা হুগলির জলে কার্যত তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের। রায়চকের নুরপুর জেটি-সহ পরিবহন দপ্তরের ফেরি সার্ভিসের অফিস মঙ্গলবার রাত থেকেই কার্যত নদীগর্ভে। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফেরি চলাচল। হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে এই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম এই ফেরি চলাচল। সেই চলাচল আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

Advertisement

দিন কয়েক আগে বিদেশি পণ্যবাহী একটি জাহাজ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নুরপুরে হুগলি নদীর ওই বাঁধে ধাক্কা খায়। তার জেরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঁধ সংলগ্ন রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করে। মঙ্গলবার রাত থেকে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকজনকে। সম্পূর্ণ এলাকা নিরাপত্তার জন্য ঘিরে রেখেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ মিটার এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। ক্রমে সেই ধস আরও বাড়ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন সেচ দপ্তর এবং কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকরা। রয়েছেন মহকুমা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও। ধস কবলিত এলাকার মেরামতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।

Roads and jetties submerged in river due to erosion at Diamond Harbor
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে রাস্তা সারাইয়ের। নিজস্ব চিত্র

ওই জেটিঘাটের কিছুটা দূরে পোর্ট ট্রাস্টের একটি জেটি রয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য ফেরি চলাচল শুরু করতে পোর্ট ট্রাস্টের ওই জেটি যাতে ব্যবহার করা যায়, সেই অনুরোধ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রাখা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু সেখানেও সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাঙনে ওই রাস্তার কিছু অংশ বসে গিয়ে নদীর জল বয়ে চলেছে। ফলে ওই রাস্তায় যাতায়াত করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। সেচ দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিধায়ক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই মাটি ফেলে বাঁধের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ দু’য়েক পর থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারবে বলে অনুমান। কিন্তু গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে প্রাথমিক খবর।

 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ