প্রতীকী ছবি
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: স্কুল শেষে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল কিশোরী। অভিযোগ স্থানীয়রা তাদের হেনস্তা করেন। পরে প্রেমিক-প্রেমিকাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। কিশোরীর অভিভাবকরা থানায় গিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। সেই অপমানে আত্মঘাতী নাবালিকা! ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে।
কিশোরী শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি কিশোরীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন আত্মহত্যা করল কিশোরী?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার স্কুলে যায় কিশোরী। স্কুল শেষে বাড়ি না ফিরে গয়েশপুর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি মাঠে স্কুলেরই এক বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল। তা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে থানা থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন বাবা-মা।
এদিন কিশোরীর বাবা প্রতিদিনের মতো কাজে বেরিয়ে যান। মা রান্না করছিলেন। অনুমান, সেই সুযোগে নিজের ঘরে ঢুকে আত্মঘাতী হয় নাবালিকা। দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় বাড়ির সদস্যদের। তারপর দরজা খুলতেই গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়। কিশোরীর বাবা বলেন, “বন্ধুর সঙ্গে গল্প করায় এলাকাবাসী তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই কারণেই অপমানিত বোধ করে মেয়ে। হয়তো সেই কারণেই আত্মহত্যা করেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.