Advertisement
Advertisement
Tehatta

তেহট্টে বালকের দেহ উদ্ধারের পর কেন রোখা গেল না গণপিটুনি? কারণ ব্যাখ্যা SDPO-র

গত শনিবার বালকের দেহ উদ্ধারের পর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় তেহট্ট।

SDPO says over Tehatta boy killing and lynching case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 8, 2025 1:49 pm
  • Updated:September 8, 2025 2:10 pm   

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বছর নয়েকের বালকের দেহ উদ্ধার। বদলা নিতে অভিযুক্ত সন্দেহে দম্পতিকে গণধোলাই। শেষমেশ প্রাণ যায় তাঁদের। গত শনিবার এই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় নদিয়ার তেহট্টে। অনেকেই দাবি করেন, পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি বলেই পরিস্থিতি এতটা বেগতিক হয়। গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে সোমবার আসল কারণ ব্যাখ্যা করলেন এসডিপিও শুভতোষ সরকার।

Advertisement

তিনি বলেন, “গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই বালক। রাতে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই খোঁজখবর শুরু হয়। পাওয়া যায়নি। পরদিন ভোর পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তার দেহ ডোবা থেকে পাওয়া যায়। সন্দেহের বশে পাশের বাড়ির দম্পতিকে মারধর করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে যারপরনাই চেষ্টা করেছিল। উন্মত্ত জনতা তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিতে দেয়নি। দমকলও যেতে পারেনি।”

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মোট দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। একটি খুনের। অপরটি গণপিটুনির। খুনের ঘটনায় মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশের জালে ৩ জন। তবে কীভাবে মৃত্যু হল বালকের? অপহরণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে খুন নাকি অন্য কিছু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের দাবি, এখনও তদন্ত চলছে।

এদিকে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ গ্রামে যায় ২ সদস্যের ফরেনসিক দল। সঙ্গে রয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম ঘোষ, এসডিপিও (তেহট্ট) শুভতোষ সরকার-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। প্রথমে তারা বালকের মৃতদেহ উদ্ধারের স্থল পরিদর্শন শুরু করেন। এলাকায় এখনও মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। চলছে পুলিশের টহলদারি। শুনশান এলাকা। মুখ খুলতে চাইছে না কেউ। এক কথায় বলতে গেলে থমথমে পরিবেশ। ঘটনার পর থেকে শুনশান এলাকা। আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ