Advertisement
Advertisement
Gobardanga

নদীধসে ভাঙল একের পর এক দোকান, লাখ লাখ টাকার ক্ষতিতে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা

নদীর জলে তলিয়ে গেল একাধিক দোকান। লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি ব্যবসায়ীদের।

Seven shops collapsed in the river at Gobardanga
Published by: Suhrid Das
  • Posted:December 10, 2024 9:00 pm
  • Updated:December 10, 2024 9:00 pm   

অর্ণব দাস, বারাসত: নদীধসে ভেঙে পড়ল পাড়ে থাকা সাতটি দোকান। মঙ্গলবার ভোরে গোবরডাঙার কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা শহরের উপর দিয়েই বয়ে গিয়েছে যমুনা নদী। যশোর রোডের কালীবাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের পাশে নদীর পাড়ে সরকারি জমি রয়েছে। অভিযোগ, সেই জমি জবরদখল করে বহু বছর ধরেই রয়েছে বেশ কিছু দোকান। চায়ের দোকান, মুরগির মাংস, বিদ্যুতের সরঞ্জাম বিক্রির দোকান রয়েছে। সোনার দোকানও তৈরি হয়েছে। এদিন সকালে ওই এলাকায় নদীর পাড়ে ধস নামে। ওই সব দোকান নদীগর্ভে তলিয়ে যায়।

ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশে। প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারপর উদ্ধার কাজ শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সোনার দোকানের মালিক জয়দেব সেন জানান, নদীর মাটি ধসে সাতটি দোকান ভেঙে পড়ে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কাদামাটি থেকে গয়নার বাক্সগুলি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর দত্ত। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই অসহায় মানুষগুলি যাতে নতুন করে রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারে, সেজন্য পাশে থাকব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া কোনও বাড়ি বা দোকান নির্মাণ করতে দেখি না। কিন্তু এই দোকানগুলি অনেক পুরনো ছিল। এরকম আরও অনেক দোকান আছে। সেগুলির ক্ষেত্রে এবার সতর্কতা মানতে হবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ