সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী হেরে গেলেন, এবার সুচিত্রা সেনের আত্মার কী হবে? আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মুনমুন সেন ভোটপ্রচারে বেরিয়ে ভোট চেয়েছিলেন মা অর্থাৎ সুচিত্রা সেনের আত্মার শান্তি কামনা করে। তা মুনমুন তো হেরে গেলেন। তাই নেটিজেনের প্রশ্ন, ‘এবার সুচিত্রা সেনের আত্মার কী হবে?’ ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণের সোশ্যাল মিডিয়া টাইমলাইনে ঘুরল এমন বহু মিম।
গেম অফ থ্রোনসের (জিওটি) প্রসঙ্গ টেনে কেউ বললেন, ‘মোদি ২.০’। কেউ আবার দিদি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গান বাঁধলেন, “যেতে দাও আমায় ডেকো না…।” কোনও কোনও বাঙালি আবার হোয়াটস অ্যাপে ‘আরআইপি’ লিখলেন কাস্তে, হাতুড়ি, তারাকে। অনেকে আবার লিখলেন ইভিএম অর্থাৎ ‘এভ্রিওয়ান ভোটেড (ফর) মোদি’।
[আরও পড়ুন: ভোটের ফল প্রকাশের পরই দিকে দিকে আক্রান্ত শাসকদল, কাঠগড়ায় বিজেপি]
শুধু নির্বাচন বলে নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট এখন সর্বত্র। আগে দু’মাসব্যাপী লোকসভা নির্বাচনে প্রচার চলাকালীনও ট্রোলড হয়েছেন অনেক তারকাপ্রার্থী। উর্মিলা মাতণ্ডকর থেকে শশী থারুর। নরেন্দ্র মোদি থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ট্রোলিং তালিকায় বাদ পড়েননি কেউ। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ‘চৌকিদার’ স্লোগানের পর বিজেপির কার্যকর্তারা তো টুইটারে নিজেদের চৌকিদার লিখে ফেললেন। তারপর ভুয়ো খবর তো রয়েইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন রয়েছে।
ভোটের ফল দেখার পর কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিস্ট নরেশ অরোরা দুঃখ করে বলছেন, “চৌকিদার বলে প্রচার শুরু করলেন রাহুল গান্ধী। আর লাভের গুড় খেল বিজেপি?” ভুয়া খবর যাচাইকারী এক সংস্থা জানাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটপ্রচার করতে বিজ্ঞাপন গত ফেব্রুয়ারি থেকে লোকসভা নির্বাচনে গুগল ও ফেসবুকে মোট ২৪.৪ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেস খরচ করেছে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অরোরা জানিয়েছেন, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতায় ফিরতে সোশ্যাল মিডিয়াকে খুব ভাল কাজে লাগিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার ‘ন্যায়’র মতো জনমুখী প্রকল্পের কথা বলেও পিছিয়ে গেল কংগ্রেস। আর এখানেই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন কি সোশ্যাল মিডিয়া নির্বাচন?
[আরও পড়ুন: এত আসনে হার কেন? বিধায়কদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]
গত লোকসভাতেও বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কথা শিরোনামে এসেছিল। নেতৃত্বে রাষ্ট্রসংঘের কাজ ছেড়ে আসা প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্তের ‘চায়ে পে চর্চা’ থেকে শুরু করে ‘#ঘর ঘর মোদি’। কংগ্রেস, তৃণমূ্ল বা অন্য রাজনৈতিক দল গতবার ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারকে দুষলেও এবার কিন্তু মুখ ফোটাতে পারবেন না। কারণে গুগল, ফেসবুককর্তা থেকে দেশের নির্বাচন কমিশন-সকলেই এবার একজোট হয়ে কোমর বেঁধে নেমেছিল। তবু ‘মোদি ঝড়ের’ ধুলোতে পায়ের ছাপ কিন্তু আপনারও পড়েছে। ন্যাশকমের প্রাক্তন সভাপতি আর চন্দ্রশেখর অবশ্য আগেই বলেছিলেন, স্মার্টফোনের যুগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকায় থাকবে প্রযুক্তি। আর হলও তো তাই।
The Throne Congress asked.
The Throne Congress got.— Godman Chikna (@Madan_Chikna)
Winner of Game of Thrones..Brandan Modi or Narendra Stark
— Gaurav (@BabaHooodiBaba)
GoT Finale = Loksabha Elections
— Sagar (@sagarcasm)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.