Advertisement
Advertisement
Sodepur Incident

প্রেমের ফাঁদে ফেলাই কাজ ছিল আরিয়ানের! কীভাবে ফুলটুসির সেক্স ব়্যাকেটে জড়াত তরুণীরা?

ফুলটুসির খোঁজে মরিয়া তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Sodepur Incident: Aryan Khan allegedly lured girls into an erotic film racket out of love
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 11, 2025 3:36 pm
  • Updated:June 11, 2025 4:25 pm  

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ডোমজুড়ের শ্বেতা খানের (ফুলটুসি) ছেলে অর্থাৎ ধৃত আরিয়ান খানের কাজ ছিল শুধুমাত্র তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলা। গুণধরকে গ্রেপ্তারের পর এমনই তথ্য দিয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, প্রেমের ফাঁদে ফেলেই তরুণীদের মায়ের কাছে নিয়ে যেত সে। তারপরই তাঁদের বাধ্য করা হতো মধুচক্রে কাজ করতে। কাউকে জোর করা হতো নীল ছবিতে কাজ করার জন্য।

গত কয়েকদিন ধরে ফুলটুসি কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। সোদপুরের তরুণীকে কাজের টোপ দিয়ে আটকে রেখে অত্যাচারের সূত্র ধরেই প্রকাশ্যে আসে ফুলটুসি কাণ্ড। সেই থেকেই শ্বেতা (ফুলটুসি) ও আরিয়ান খানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বুধবার সকালে গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরিয়ানকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, মায়ের ব্যবসায় বড়সড় দায়িত্ব ছিল আরিয়ানের। তার মূল কাজ ছিল তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলা। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে প্রেমিকাকে বাড়িতে নিয়ে যেত যুবক। এরপরই তরুণীরা ফেঁসে যেতেন শ্বেতার জালে। কেউ বাধ্য হতেন যৌন ব্যবসায় নামতে। কাউকে কাজ করতে হত নীল ছবিতে। ধৃতদের জেরা করলে শ্বেতার হদিশ ও বেআইনি ব্যবসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে রাজ‍্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। আগামী তিনদিনের মধ্যে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ। এদিকে ক্রমশ অবনতি হচ্ছে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার। তাঁকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ড থেকে আইসিসিইতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে খবর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement