বাবুল হক, মালদহ: কাকিমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক! কাকুর সঙ্গে দেড় কোটি টাকা লেনদেন নিয়ে অশান্তিতে জড়িয়েছিলেন সাদ্দাম নাদাব। দক্ষিণ দিনাজপুর হত্যাকাণ্ডে প্রকাশ্যে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও পরকীয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ ধৃত বধূ। পালটা দাবি, অজ্ঞাত কারণেই তাঁর স্বামী ও সন্তানকে খুনের হুমকি দিচ্ছিলেন সাদ্দাম। ধৃত দম্পতিকে জেরা করে রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৌমিতা হাসান একা-ই নয়, তার স্বামী রুহমান নাদাব-সহ এই খুনের ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। এরপরই উঠে আসে আর্থিক লেনদেনের তত্ত্ব। জানা যায়, মৌমিতার স্বামী অর্থাৎ কাকুর সঙ্গে অন্তত দেড় কোটি টাকা লেনদেন ছিল সাদ্দামের। প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা রুহমানের কাছে পেতেন সাদ্দাম। নিখোঁজ হওয়ার দিন সাদ্দাম বাড়ি থেকে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের। এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, ধৃত মহিলার সঙ্গে সাদ্দামের পরকীয়ার তথ্যও। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি চরমে উঠেছিল। বিয়েতে রাজি ছিল না মৌমিতা। তা নিয়ে যুগলের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে পরিণতি যে এত ভয়ংকর হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে মালদহ থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যান সাদ্দাম। ২০ তারিখ পরিবারের তরফে ইংরেজবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। এরপর ২৩ তারিখ অপহরণের অভিযোগ করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই মৌমিতা নাদাব নামে যার বাড়িতে থাকতেন ওই যুবক, স্বামী-সহ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা তথ্য। জানা যায়, ওই মহিলা খুন করে সাদ্দামকে। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানা এলাকায় ধৃতের বাপের বাড়িতে। সেখানে দেওয়ালে সাদ্দামের দেহ গেঁথে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দামের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.