নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের রামপুরহাটের মেসে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। পাশেই মিলেছে একটি চিঠি। তাতে লেখা, ‘কায়েম তুমি ৪০টি গোলাপ দিও আমার কবরে।’ এই কায়েম সম্পর্কে মৃতার পিসতুতো দাদা। ফলত প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যার তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে পারছে না তদন্তকারীরা। তবে পরিবারের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে মৃতার এক শিক্ষক। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের চাঁদপাড়া হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল মৃতা। মেসে থাকত সে। মঙ্গলবার দুপুর ছাত্রীর বাবাকে ফোন করেন এক শিক্ষক। তিনিই নাবালিকার দেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। এদিকে খবর পেয়ে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের পাশ থেকেই মিলেছে একটি চিঠি। তাতে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কায়েম তুমি ৪০টি গোলাপ দিও আমার কবরে।’ এতেই দানা বাঁধে রহস্য।
জানা গিয়েছে, এই কায়েম সম্পর্কে মৃতার পিসতুতো দাদা। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সে বিষয়টিকে মানতে পারেনি তার পরিবার। হতে পারে সেই কারণেই চরম সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরিবারের দাবি, ঘটনা নেপথ্যে এক শিক্ষক। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শীঘ্রই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.