বাবুল হক, মালদহ: বাড়ির অদূরেই ছাগল নিয়ে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন অপহরণকারীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় পরিবার। কিন্তু কেন এই অপহরণ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত ছাত্র ইনজামুল হকের (১৪) বাবা এনামুল হক পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। কালিয়াচকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়নগর ডাঙা এলাকার বাসিন্দা এনামুল গ্রামে গ্রামে রেডিমেড কাপড় ফেরি করে বেড়ান। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কোনওরকমে চলে সংসার। তাঁর ছেলে ইনজামুল জালালপুর হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বাড়িতে কয়েকটি ছাগল রয়েছে। স্কুল ও পড়াশোনার ফাঁকে মাঠে ছাগল চড়াতে যেত ইনজামুল। শুক্রবার বিকেলে তার ছেলে গ্রামের পাশে ছাগল চড়াতে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় ছাগলগুলো ফিরে এলেও ছেলে ফেরেনি। শনিবার ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে।
ওই ছাত্রের বাবা জানান, বড়নগরের এমাজুদ্দিন শেখ ও সৈয়দপুরের হাসমাত শেখের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে দীর্ঘদিনের। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিও দিত। তারাই এই অপহরণের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রের মা রেহেনা বিবি বলেন, “তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ছেলে বাড়ি ফেরেনি। কেউ আমার ছেলেকে কিডন্যাপ করেছে। পুলিশ আমার ছেলেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করুক। ওরা ফোন করে অনেক টাকা চেয়েছে। সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই আমাদের। আমরা এত টাকা কোথায় পাব? গ্রামে গ্রামে ফেরি করে সংসার চলে। পুলিশকে আমরা সবকিছু বলেছি।” যদিও রবিবার রাত পর্যন্ত অপহৃত ছাত্রের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.