ফাইল ছবি।
শান্তনু কর: হোয়াটসঅ্যাপে আত্মহত্যার স্টেটাস দিয়ে আত্মহত্যা ছাত্রীর। মৃত ছাত্রীর নাম কেয়া দাস। পলিটেকনিক কলেজের সিভিল বিভাগের সেকেন্ড সেমিস্টারের ছাত্রী সে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি রঙধামালি এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা। অন্যদিকে বান্ধবীর মৃত্যুর হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস দেখা মাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তাঁর তিন বন্ধু। কিন্তু জটে বেধড়ক মার। এমনকী উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও চড়াও হয় বলে অভিযোগ। হামলা চালানো হয় গাড়িতেও। কোনও রকমে আহত তিন ছাত্রকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির লোকের অবর্তমানে নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে জলপাইগুড়ি রঙধামালির বাসিন্দা কেয়া দাস। পলিটেকনিক কলেজের সিভিল বিভাগের সেকেন্ড সেমিস্টারের ছাত্রী। পরিবারের দাবি, এই বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানতেন না। বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর তা দেখার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, এর মধ্যেই হঠাৎই তিন যুবক এসে কাওকে কিছু না জানিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেহ নামায়। তখনই বাড়ির এবং স্থানীয় লোক ওই তিন যুবককে আটক করে। তথ্য লোপাটের অভিযোগে তিন যুবককে বেধড়ক মারধর শুরু করে উত্তেজিত জনতা।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করেও হামলা চালায়। জানা গিয়েছে, আহত তিন জনের মধ্যে একজন মৃত ছাত্রীর সহপাঠী। তাদের দাবি, হোয়াইটস অ্যাপে বান্ধবীর আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেখা মাত্র ছুটে গিয়েছিলেন। তাঁকে বাঁচাতেই তাঁরা ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের আক্ষেপ, ফল হল উলটো। গণধোলাই খেতে হল তিন যুবককে। অন্যদিকে কেন ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ছাত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.