বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বজবজে বিক্ষোভের প্রতিবাদে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। ওই চিঠিতে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রিভিলেজ কমিটিকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
সুকান্ত ওই চিঠিতে গত ১৯ জুনের অশান্তির ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। লেখেন, “১৯ জুন, আমি রাজনৈতিক হিংসায় জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে ডায়মন্ড হারবারে যাই। সেখানে আমার কনভয় ঘেরাও করে হামলা চালানো হয়। কনভয় লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আমি এবং আমার সঙ্গে থাকা অনেকেই জখম হয়েছেন। এই হামলার ফলে আমি জীবনহানির আশঙ্কায় রয়েছি।” পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও লেখেন, “সবচেয়ে বড় আতঙ্কের কথা, হামলার সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী। তা সত্ত্বেও তিনি কোনও ব্যবস্থা করতে পারেননি। ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা করতে দেওয়া হয়েছে। এমনকী পরিস্থিতি এত উত্তপ্ত হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মহকুমা পুলিশ সুপারের দেখা পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে সিআইএসএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করে।” সুকান্তর দাবি, “এই হামলার ফলে শুধুমাত্র জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তা নয়। এই হামলা একজন সাংসদের কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। আমি চাই প্রিভিলেজ কমিটি অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিক।”
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বজবজের হালদারপাড়ায় এক বিজেপি কর্মী জখম হন বলেই খবর। তাঁকে দেখতে বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁকে দেখে বেরনোর পর বেশ কয়েকজন সুকান্তকে ঘিরে ধরেন। তাঁদের দাবি, ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। সুকান্তকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন এলাকার মহিলারা। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। বজবজ থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে সময় যত গড়ায়, পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হতে থাকে। বাধ্য হয়ে এলাকায় নামে ব়্যাফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.