Advertisement
Advertisement

Breaking News

Konnagar

আম পাড়ায় মার, ভেঙেছে চোখের হাড়, কোন্নগরের সেই কিশোরের জন্য দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড

ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস।

swasthya sathi card for the injured teenager from Konnagar
Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 9, 2025 3:44 pm
  • Updated:June 9, 2025 3:44 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: দিন কয়েক আগে হুগলির কোন্নগরে আমপাড়াকে কেন্দ্র করে কিশোরকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় এখনও অধরা টোটোচালক। ওই কিশোরের চোখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এদিকে সেই নিয়েই সমস্যায় পড়েছে পরিবার। কারণ, ওই কিশোরের মায়ের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সেই সামর্থও নেই ওই পরিবারের। এই অবস্থায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস। তিনি বলেন, “নাবালকের মায়ের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে দ্রুত।”

পুরপ্রধান স্বপন দাস আজ, সোমবারই এসডিও অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “ওই পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে দ্রুত কিশোরের চিকিৎসা হয়। পুরসভা এই ঘটনার শেষ দেখেই ছাড়বে। কোনও গরিব মানুষ বঞ্চিত হবেন না।” এদিকে কিশোর আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে অন্য কথাও প্রচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই কিশোরকে কেউ মারধর করেনি! গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে সে পড়ে গিয়েছিল! সেই রটনাও চলছে বলে অভিযোগ। যদিও সেই কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পুরপ্রধান। তিনি বলেন, “আমি নিজে আক্রান্ত কিশোরের বাড়ির লোক এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের বক্তব্য, ওই কিশোরকে কোনও এক টোটোচালক ব্যাপক মারধর করেছেন। ডাক্তারি রিপোর্টেও পরিষ্কার, মারধরের কারণেই চোখের তলার হাড় ভেঙে গিয়েছে।”

কেন এখনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হল না? সেই প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্ত কিশোরের মা ও প্রতিবেশীরা। পুরপ্রধান তাঁদের পাশে আছেন। দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই কথা জানতে পেরে স্বস্তি পেয়েছে ওই পরিবার। গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কোন্নগর মাস্টার পাড়ায় একটি বাড়িতে থাকা গাছে আম পাড়তে যায় দুই কিশোর। একজন পালিয়ে যায়। অভিযোগ, আরেক কিশোরকে ধরে ফেলে স্থানীয় এক টোটোচালক। আম পাড়ার ‘অপরাধে’ কিশোরকে পেরেক লাগানো লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছে সে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement