Advertisement
Advertisement
TMC

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বঞ্চনা! দলের সহকর্মীদের ‘দায়’ নিয়ে কান ধরে ওঠবস তৃণমূল নেতার

তৃণমূল কাউন্সিলরের কান ধরে ওঠবোসের ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Tamluk Tmc leader seeks apology in social media after ssc tainted list released
Published by: Kousik Sinha
  • Posted:September 2, 2025 3:32 pm
  • Updated:September 3, 2025 9:25 pm   

সৈকত মাইতি, তমলুক:  তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘জাগ্রত বিবেক’! হঠাৎ কান ধরে ওঠবস! গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য’দের তালিকা সামনে এনেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে একাধিক শাসক নেতা এবং শাসক ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে। তালিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এর মধ্যেই এক তৃণমূল কাউন্সিলরের কান ধরে ওঠবসের ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।

Advertisement

যেখানে তাঁকে দলের সহকর্মীদের ‘দায়’ নিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, টাকা নেওয়ার পরেও বহু তৃণমূল নেতারা মুখ খুলছেন না বলেও অভিযোগ ওই তৃণমূল নেতার।  এমনকী এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। বিজেপির দাবি, “শুভেন্দু অধিকারী এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।”

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই তৃণমূল নেতার নাম পার্থসারথী মাইতি। তিনি তমলুক ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধিও। এমনকী যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পার্থসারথী মাইতির ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কার্যত সেই ভিডিও দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, হঠাৎ বোধোদয় কেন! ভাইরাল ভিডিওতে তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য, “জেলার অনেক নেতা টাকা নেওয়ার পরও মুখ খুলছেন না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন তারও প্রতিবাদ করছেন না। নীরবতা বজায় রাখছেন। তার জন্য সাধারণের সামনে ক্ষমা চাইছি”।

তৃণমূল নেতার কান ধরে ওঠবস করার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্য কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। এই ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূলের মূল মাথারাই চোর। শুভেন্দু অধিকারী উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে।” শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতার আরও দাবি, ”তৃণমূল নেতাদের এখন নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সোশাল মিডিয়ায় এই ধরনের ঘটনা তুলে ধরছে।” যদিও এই বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি সুজিত কুমার রায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ