আম ভাত উৎসবে মানবাজার ১ ব্লকের গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ছবি: অমিতলাল সিং দেও।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আম্রপালি থেকে দশেরি। সেইসঙ্গে গাছপাকা কাঁঠাল। মরশুমি ফলের গন্ধে ম ম করছে স্কুলের ক্যাম্পাস। সেসব সুস্বাদু মরশুমি ফল এখন স্কুলের মিড ডে মিলের থালিতে। পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মানবাজার ১ নম্বর চক্রের গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের শেষ পাতে এখন প্রতিদিনই মিলছে আম, কাঁঠাল। আর কোনও বিশেষ দিন হলে তো কথাই নেই। মিড ডে মিলে ওই ফলের রসনা তৃপ্তির সঙ্গে খুদে পড়ুয়াদের হাতে হাতে মিলছে একটি করে আম্রপালি, দশেরিও।
মানবাজার ১ ব্লকের অজ পাড়া গাঁয়ের এই গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলার প্রাথমিক শিক্ষায় আলাদাভাবে নজরকাড়া। শুধু পুরস্কারে নয়। এই বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন, পরিবেশ, পড়ুয়াদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। আর এবার মিড ডে মিলের থালিতে আম, কাঁঠাল চোখ টানছে। ওই গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র বলেন, “মিড ডে মিলে এই ব্যবস্থাপনা আমাদের ২০১৫ সাল থেকেই চলছে। বর্তমানে কেন্দ্র সরকার ‘পিএম পোষণ প্রকল্পে’ তিথি ভোজনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। অর্থাৎ কোনও বিশেষ দিনে মিড ডে মিলের মেনুতে অন্য কিছু থাকবে। এই তিথি ভোজন রূপায়ণ করার জন্য রাজ্যকে বলা হয়েছে। আমাদের স্কুলের ধারাবাহিকভাবে চলা কাজকে কেন্দ্র সরকার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা শুধু খুশি নয়, গর্বিত।”
এই স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের প্রতি আগ্রহ এই স্কুলের পঠনপাঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মিড-ডে মিলের উদ্দেশ্যই তো তাই। যাতে পড়ুয়ারা অভুক্ত না থেকে ভরপেট খাবারের মধ্য দিয়ে লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়ে। এই স্কুলের ফল বাগানেই ওই আম-কাঁঠাল ফলে। আম্রপালি ও দশেরি জাত মিলিয়ে প্রায় ১২ টি আম গাছ রয়েছে। রয়েছে তিনটি কাঁঠাল গাছও। তবে শুধু মরশুমি ফলের সময় মিড ডে মিলের পাতে আম, কাঁঠালই পড়ছে, তা নয়। ওই থালি বিশেষ দিনে তিথি ভোজনে একেবারে নজরকাড়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.