এই সেই স্কুল। নিজস্ব চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া স্কুলের মধ্যেই ছিল। এদিকে স্কুল ছুটির পর কেউ তার উপস্থিতি খেয়ালই করেনি! অন্যান্য পড়ুয়া, শিক্ষকরা স্কুল ছাড়লে দরজায় তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়! স্কুলের মধ্যেই আটকে থাকে একরত্তি! পরে ওই শিশুর কান্নাকাটিতে পড়শিদের ঘটনাটি নজরে আসে। পরে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার নতুন পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কী করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই উদাসীনতা দেখালেন? সেই প্রশ্ন তুলে আজ, সোমবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখান ওই পড়ুয়ার পরিবার ও পড়শিরা। তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫২ জন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক দু’জন। গত শনিবার বিদ্যালয় ছুটির পর তালা দিয়ে চলে যায় শিক্ষকরা। কিছু সময় পর স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, একটি শিশু বিদ্যালয়ের ভিতর থেকে চিৎকার, কান্নাকাটি করছে। শিশুর কান্না শুনে স্থানীয় মানুষজন বিদ্যালয়ের ভিতরে এসে দেখেন শিশুটি স্কুলের ভিতরে তালাবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এরপর শিশুটির মা স্কুলে যান। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এক শিক্ষক চাবি নিয়ে এসে তালা খুলে ছাত্রীটিকে বের করেন। ঘটনাটি ছাত্রীর মা মোবাইল ফোন বন্দি করেন। পরে শিক্ষকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। ঘটনা জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আজ, সোমবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখান ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়রা। বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত বিশ্বাস ঘটনার কথা স্বীকার করেন। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই ঘটনা কোনওমতেই কাম্য নয়।” ঘটনা যে গাফিলতির জন্যই হয়েছে তাও স্বীকার করেন। ঘটনার তদন্ত ও দোষীর শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। ঘটনায় ওই ছাত্রী খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে বলে খবর। সোমবার সে স্কুলে যায়নি বলে খবর। আশানগর থানায় ঘটনাটিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.