অর্ণব আইচ, সঞ্জিত ঘোষ: সোজা নয়, কাটা রুট। কৃষ্ণনগরে তরুণী ঈশিতা মল্লিককে খুনের পর সরাসরি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া না পালিয়ে কাটা রুট ধরেছিল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। এমনকী, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে মোবাইল চালু অবস্থায় আসানসোলের ওয়াইফাই জোনে ফেলে রেখে পালিয়েছিল সে। কিন্তু তাতে একটুও দমেননি খুনের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় চলে ‘চেজ’।
দেওরিয়ার ‘ডন’ দঙ্গল সিং, মঙ্গল সিং, পঙ্কজ সিংদের ডেরায় অসম সাহসের সঙ্গে ঢুকে পড়ে এই রাজ্যেরই পুলিশ। দেশরাজ যে যে জায়গায় গিয়েছে, সেখানেই তাকে তাড়া করেছে কৃষ্ণনগর পুলিশের বিশেষ টিম। আর তাতেই সাফল্য পেল কৃষ্ণনগরের ‘টিম অমরনাথ কে’। পলাতক দেশরাজকে ধরার জন্য নিজেই টিম তৈরি করেছিলেন কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে। তাঁর টিমে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মিত কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ, ডিএসপি শিল্পী পাল, কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস, সাব-ইন্সপেক্টর চিন্টু মাহাতো, সাব-ইন্সপেক্টর হাফিজুল ইসলাম ও অন্য আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীরা।
সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পর মল্লিকদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে হেঁটে ও তার পর অটো করে কৃষ্ণনগর স্টেশনে যায় সে। সেখান থেকে পৌঁছয় নৈহাটিতে। ট্রেনে করে শিয়ালদহ হয়ে হাওড়া। দুন এক্সপ্রেসে করে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। তার পর ট্রেন পাল্টে দেওরিয়া। মাঝখানে আসানসোলের আগেই ফেলে দেয় মোবাইল। পুলিশ সুপার জানান, দেশরাজ বর্ধমান পার হওয়ার আগেই পুলিশের টিম তাকে ট্র্যাক করতে পারে। এর পর চলে তার পিছু নেওয়া। জানা গিয়েছে, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পালানোর সময় পুলিশ তার পিছু নেয়। শেষ পর্যন্ত সে অযোধ্যায় পৌঁছলে একদিন পর তার পিছু নেয় পুলিশের টিম। শেষ পর্যন্ত সাফল্য মেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.