রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপিতে এবার মুখবদলের পালা! রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না বলেই খবর। সেক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতি বদলই অবশ্যম্ভাবী। ২ জুলাই হবে তাঁকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া। ওই দিন মনোনয়ন জমা এবং প্রত্যাহার। পরদিন, ৩ জুলাই নির্বাচন এবং ঘোষণা। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির রিটার্নিং অফিসার তথা বিধায়ক দীপক বর্মন বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিনক্ষণ জানিয়েছেন।
তবে এই মুহূর্তে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনাই তুঙ্গে। সুকান্তর বদলে কে বঙ্গ বিজেপির হাল ধরতে আসছেন? শোনা যাচ্ছে, দৌড়ে এগিয়ে বিজেপির ‘আদি’ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তবে কি বিজেপিতে শমীক-যুগ শুরু? শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
ছাব্বিশে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘর গুছিয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া, আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একাধিক আলোচনা সেরেছেন দিল্লির শীর্ষ নেতারা। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, সকলেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে ভোকাল টনিক দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। শাসকদল তৃণমূলের মোকাবিলায় বুথে বুথে সংগঠন মজবুত করা ছাড়া যে গতি নেই, তা বারবার স্পষ্ট করা হয়েছে। আর সেই লড়াইয়ে যে বিজেপি যথেষ্ট পিছিয়ে, তা বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফলেই প্রমাণিত।
এই অবস্থায় ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য সংগঠনের ভার অন্য কাউকে দেওয়ার পথেই হাঁটতে চলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচন হবে বলে জানালেও আসলে সর্বসম্মতিক্রমে একজনের নামই মনোনয়নে জমা পড়তে চলেছে। সেই নামটি কার? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন, সুকান্ত মজুমদারের ব্যাটন এবার শমীক ভট্টাচার্যর কাছে যেতে পারে। রবিবার রাতে দিল্লিতে জেপি নাড্ডার বাড়িতে শমীকের বেশ কিছুক্ষণের বৈঠকের পর সেই জল্পনা আরও উসকে উঠেছে। ২ জুলাই হয়ত মুখবন্ধ খামে তাঁর নামই মনোনয়ন হিসেবে জমা পড়বে। যদিও এই বৈঠক নিয়ে শমীকের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তিনি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত কথা জানাতেই নাড্ডার কাছে যাওয়া। এই দাবি কতটা সত্যি, তা স্পষ্ট হবে ৩ জুলাই।
তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি নিয়ে এত আলোচনা, গুঞ্জনের মাঝে কিন্তু প্রাক্তন দিলীপ ঘোষের নাম শোনাই যায়নি। অনেকেই দিলীপের হাতে বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের ভার দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবছেন না শাহ-নাড্ডারা। এমনকী সংঘও দিলীপে কিছুটা রুষ্ট। সম্ভব সেই কারণে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.