সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না, আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক। বুধবার টুইটে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
২০১১ সালে দাপুটে বাম নেতা নিরুপম সেনকে পরাজিত করেছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় (Rabiranjan Chattopadhyay)। সেই সময় মন্ত্রী করা হয় তাঁকে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বর্ধমান দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জয়ীও হন। কিন্তু দ্বিতীয়বার মন্ত্রী করা হয়নি তাঁকে। সেই থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে রবিরঞ্জনবাবুর। জানা গিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক জানান, আসন্ন নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। কারণ শারীরিক অসুস্থতা বলেই দাবি তাঁর। যদিও নেপথ্যের কারণ দলের প্রতি ক্ষোভ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রী কেও এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীদের ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি।— Rabiranjan Chattopadhyay (@RabiranjanChat1)
একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে দলত্যাগের হিড়িক পড়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রী দল ছেড়েছেন। একাধিক বিধায়ক দলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন, যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কোনওদিনই দলত্যাগীদের গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। বরং তাদের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে যে, যাঁরা দল ছেড়েছেন, বহুদিন আগে থেকেই দল তাঁদের দূরে সরানোর চেষ্টা শুরু করেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.