সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধামোহনপুর থেকে সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এবং এদিনই ধৃতকে জেরা করা হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে খবর৷ বিধায়ককে খুনের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল? কার নির্দেশে খুন করা হয়েছে? জেরায় এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হতে পারে বলে খবর।
[বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র কারখানা, জয়নগর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধারে গ্রেপ্তার ১ ]
বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন হওয়ার পরই থেকেই পলাতক ছিল মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারি৷ তদন্তে নেমে মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ পান তদন্তকারীরা৷ তাঁরা জানতে পারেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধামোহনপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে অভিজিৎ৷ সূত্রের খবর, সোমবার সেখানে হানা দেন তদন্তকারীরা৷ এবং গ্রেপ্তার করেন অভিযুক্তকে৷ সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে নদিয়ার মাজদিয়া-ফুলবাড়ি এলাকায় নিজের পাড়াতেই খুন হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান মঞ্চে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন সত্যজিৎ। যেকোনও অনুষ্ঠানে ডাকলেই তাঁকে পাওয়া যেত।
[নদিয়ার তেহট্টে বাস ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ১, আহত ৩২]
খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বিধায়ক হওয়ার সুবাদে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। কিন্তু, ঘটনার দিন ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই ফুলবাড়ি-মাজদিয়া এলাকায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শাসকদলের বিধায়ক। এবং অনুষ্ঠান চলাকালীন এলাকায় ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং হয় এবং অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে হাঁসখালি থানার ওসি ও বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করে প্রশাসন।
ছবি: সুজিত মণ্ডল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.