ফাইল ছবি।
বাবুল হক, মালদহ: পুজোর বাকি মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিন। সব জায়গায় মণ্ডপ শিল্পী থেকে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত। এর মাঝেই মালদহে পাঁচটি মণ্ডপের কাজ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শিল্পী ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন মালদহের পাঁচ কমিটির কর্তারা। এক পুজো কমিটির সম্পাদক অমিতাভ শেঠ বলেন, “এখন স্থানীয় মণ্ডপ শিল্পীদের হাত-পা ধরে কাজ করাতে হবে। তবে পুজোর থিমের সঙ্গে মণ্ডপের মিল থাকবে না।”
অভিযুক্ত ডেকরেটার্স শিল্পীর নাম সুদীপ্ত পাল। তিনি নিজেকে কলকাতার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে কাউকে বলেছিলেন তিনি থাকেন যাদবপুর। কোথাও বলেন তাঁর বাড়ি বেহালা। মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে নাকি তাঁর নামডাক রয়েছে। তাই বেশি মাথা ঘামাননি পুজো কমিটিগুলি।
মালদহের পাঁচটি বড় বাজেটের পুজোর মণ্ডপ তৈরির বরাত নিয়েছিলেন তিনি। পাঁচটি কমিটি মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা অগ্রিমও নিয়েছেন বলে দাবি কমিটিগুলির। নিজের লোকজন নিয়ে থাকছিলেন মালদহেরই একটি হোটেলেই। সেখানে খোঁজ নিয়ে কমিটিগুলি জানতে পারে তাঁরা হোটেলেরও বিল না মিটিয়ে চলে গিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, প্রতারণার শিকার হয়েছে শহরের বালুচর কল্যাণ সমিতি, দিলীপ স্মৃতি সংঘ, বিএস রোড বেলতলা ক্লাব, কুতুবপুর হিমালয় সংঘ এবং কৃষ্ণপল্লি কল্যাণ সংঘ। প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপ থিম ভিত্তিক। এই পাঁচটি পুজো মণ্ডপ তৈরির বরাত নিয়ে কারও কাছে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা, কারও কাছে পাঁচ লক্ষ, আবার কারও কাছে সাড়ে চার লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে কাজ শুরু করেন সুদীপ্ত। যথাসময়ে কাজ শেষ করার ব্যাপারেও পুজো উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। সুদীপ্ত পালিয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুজো কমিটির সদস্যদের মাথায়। পাঁচটি পুজো কমিটি সুদীপ্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.